আর্জেন্টিনা থেকে কোপা লিবের্তাদোরেস এখন ব্রাজিলে

শিরোপা হাতে ফ্লামেঙ্গোর খেলোয়াড়দের উল্লাস। ছবি : ফ্লামেঙ্গোর টুইটার পেজ থেকে নেওয়া
শিরোপা হাতে ফ্লামেঙ্গোর খেলোয়াড়দের উল্লাস। ছবি : ফ্লামেঙ্গোর টুইটার পেজ থেকে নেওয়া

গতবার কোপা লিবের্তাদোরেসে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বোকা জুনিয়র্সকে হারিয়ে জিতেছিল এই রিভার প্লেটই। এবার তাদের সামনে সুযোগ ছিল টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই শিরোপা জেতার। সুযোগ ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বোকার একটা কৃতিত্বে ভাগ বসানোর। ২০০০ ও ২০০১ সালে টানা দুইবার লিবের্তাদোরেস জিতেছিল বোকা। বোকার সেই রেকর্ডে ভাগ বসানো হয়নি রিভারের। ফাইনালে ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লামেঙ্গোর কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে তারা।

আর এই জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ব্রাজিলের স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল বারবোসা ‘গাবিগোল’ এর। তাঁর শেষ মুহূর্তের দুই গোলের ওপর ভর করেই রিভার প্লেটের নাকের ডগা থেকে শিরোপা ছিনিয়ে এনেছে ফ্লামেঙ্গো। ১৯৮১ সালের পর এই প্রথম লিবের্তাদোরেস জিতল তারা। সেবার কিংবদন্তি জিকোর একক নৈপুণ্যে শিরোপা জিতেছিল ফ্লামেঙ্গো। গ্যাবিগোল সেই জিকোকেই মনে করিয়ে দিলেন যেন!

অথচ ম্যাচের বেশির ভাগ সময়েই এগিয়ে ছিল রিভার প্লেট। ১৪ মিনিটে আর্জেন্টিনার উইঙ্গার মাতিয়াস সুয়ারেজের ক্রস থেকে কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার রাফায়েল সান্তোস বোরের গোলে এগিয়ে যায় রিভার প্লেট। পরে হাজারো চেষ্টা করেও সেই গোল শোধ করতে পারেনি ফ্লামেঙ্গো। কে জানত, নিজের সেরাটা একদম শেষের জন্যেই জমিয়ে রাখবেন গ্যাবিগোল? ম্যাচের ৮৯ মিনিটে বরুণ হেনরিকের পাস থেকে সমতা ফেরান তিনি। ৯২ মিনিটে আরেক গোল করে রিভার সমর্থকদের একদম স্তব্ধ করে দেন। আর এভাবেই গতবারের চ্যাম্পিয়নদের কাছ থেকে লিবের্তাদোরেসের শিরোপা নিয়ে আসে ফ্লামেঙ্গো। আর্জেন্টিনার কাছ থেকে শিরোপা চলে আসে ব্রাজিলের ঘরে।

>

দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা কোপা লিবের্তাদোরেসের ফাইনালে এবার ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লামেঙ্গো হারিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার দল রিভার প্লেটকে। প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও পরে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ গোলের জয় ছিনিয়ে এনেছে তারা।

১৯৮৮ সালের পর এবারই প্রথম কোপা লিবার্তোদোরেসের ফাইনালের ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে এক লেগের ম্যাচে। চিলির সান্তিয়াগোতে ফাইনাল হওয়ার কথা থাকলেও সেখানকার রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নতুন ভেন্যু ঠিক করা হয়েছিল পেরুর লিমাতে। ৩৮ বছর পর দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের জয়ের পর প্রথমবারের মতো ফ্লামেঙ্গোর ক্লাব বিশ্বকাপে খেলাও নিশ্চিত হয়েছে। ডিসেম্বরে কাতারে হবে এবারের ক্লাব বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলে ফ্লামেঙ্গোর সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলেরও। মজার বিষয়, শেষ বার কোপা লিবের্তাদোরেস জিতে ফ্লামেঙ্গো যখন ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল, তখন মুখোমুখি হয়েছিল এই লিভারপুলের সঙ্গেই। জিকোর নৈপুণ্যে বশ মানে সেবার লিভারপুল। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে কি না, এ ডিসেম্বরেই জানা যাবে।