সৌরভকে খুশি করতে চাইছেন কোহলি?

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ফাইল ছবি: এএফপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ফাইল ছবি: এএফপি
>ভারত দলে জয়ের তীব্র যে ইচ্ছা এটা সৌরভ গাঙ্গুলীর আমল থেকেই শুরু হয়েছে বলে মনে করেন বিরাট কোহলি। সুনীল গাভাস্কার আবার সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন সত্তর-আশির দশকেও বিদেশের মাটিতে ম্যাচ জিতত ভারত।

ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে এখন সৌরভ গাঙ্গুলী। তাঁকে তো খুশি রাখতে হবেই। এই কারণেই কি বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি সৌরভের প্রশংসায় পঞ্চমুখ? গতকাল কলকাতা টেস্ট শেষের পর আলোচনায় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার অন্তত তেমন মন্তব্যই করেছেন।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কোহলি বলে গেছেন ভারত দলে জয়ের তীব্র যে ইচ্ছা, সেই মানসিকতাটা সাবেক অধিনায়ক সৌরভের সময়ই গড়ে উঠেছে, ‘পরিকল্পনা হচ্ছে নিজেকে মাঠে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমরা দলের প্রয়োজনে এগিয়ে আসার বিষয়টি রপ্ত করেছি। এই সংস্কৃতির শুরু দাদার (সৌরভ) দল থেকে। আমরা শুধু এটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’

কোহলির এমন মন্তব্যের পর গাভাস্কার ভারত অধিনায়ককে একটা বিষয় মনে করিয়ে দিয়েছেন—ভারত সত্তর এবং আশির দশকেও ম্যাচ জিতত! গাভাস্কার কোহলিকে একটা খোঁচা দিয়েই বলেছেন, ‘দুর্দান্ত এক জয়ই পেয়েছে ভারত। কিন্তু আমি একটা বিষয় মনে করিয়ে দিতে চাই। ভারত অধিনায়ক বলেছে এটা শুরু হয়েছে ২০০০ সালে দাদার দল থেকে। আমি জানি দাদা এখন বিসিসিআইয়ের সভাপতি। এই কারণেই হয়তো কোহলি তার প্রশংসা করতে চেয়েছে। কিন্তু ভারত সত্তর আর আশির দশকেও জয় পেত। তখন তো ওর জন্মই হয়নি।’

এখানেই থামেননি গাভাস্কার। ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের উদ্দেশ করে বলেছেন সৌরভের দল জিততে শুরু করার ৩০ বছর আগেও ভারত বিদেশের মাটিতেও টেস্ট জিতত, ‘এখনো অনেক মানুষ মনে করে ভারতে ক্রিকেট শুরু হয়েছে একবিংশ শতক থেকে। কিন্তু ভারত দল সত্তরের দশকেও বিদেশে ম্যাচ জিতেছে। ১৯৮৬ সালেও ভারত বিদেশে ম্যাচ জিতেছে। ভারত দেশের বাইরে সিরিজ ড্রও করেছে। অন্য দলের মতো ভারতও ম্যাচ হারত।’