মেসির দিনে বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

মেসি-সুয়ারেজ-গ্রিজমানে বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়। ছবি: রয়টার্স
মেসি-সুয়ারেজ-গ্রিজমানে বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়। ছবি: রয়টার্স
>চ্যাম্পিয়নস লিগে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। একটি করে গোল করেছেন মেসি, সুয়ারেজ ও গ্রিজমান। ডর্টমুন্ডের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন জেডন সানচো।

ম্যাচে তিন গোলের একটি নিজেই করেছেন। বাকি দুই গোল এসেছে সুয়ারেজ ও গ্রিজমানের কাছ থেকে। ওই দুই গোলেও মেসির অবদান। গোল করেছেন, বাকি দুটি করিয়েছেন— ম্যাচের পুরো আলোটা তো লিওনেল মেসি একাই কেড়ে নিলেন! আর নেবেন নাইবা কেন? প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে আজ যে তাঁর ৭০০তম ম্যাচ। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এর চেয়ে আর বেশি হয়তো করার ছিল না বার্সেলোনার এই আর্জেন্টাইন গোলমেশিনের।
আজকের ম্যাচে রেকর্ড বইয়ের পৃষ্ঠায় আরও একটি তথ্য লিখতে হবে—চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে মেসিই একমাত্র খেলোয়াড় যার আলাদাভাবে ৩৪টি দলের বিপক্ষেই গোল রয়েছে।

প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নেন সুয়ারেজ। ছবি: এএফপি
প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নেন সুয়ারেজ। ছবি: এএফপি

ম্যাচের ২য় মিনিট আর ৬০তম মিনিটে টেরস্টেগানকে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার আক্ষেপে নিশ্চিত পুড়বে ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়েরা। ক্যাম্প ন্যুতে পুরো ম্যাচে অতিথিরা খুব বেশি আক্রমণে না উঠতে পারলেও বার কয়েক সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন। বরং ৭৭ মিনিটে জেডন সানচো যে গোলটি করেছেন সেটি হাতছাড়া করা সুযোগগুলোর চেয়ে কঠিনই ছিল। সানচো মাত্র চার নম্বর ইংলিশ খেলোয়াড়, যিনি চ্যাম্পিয়নস লিগে ন্যু ক্যাম্পে গোল করেছেন। অবশ্যই সেটা স্বাগতিকদের বিপক্ষে।

মেসি-সুয়ারেজের জুটি ছিল অনন্য। ছবি: এএফপি
মেসি-সুয়ারেজের জুটি ছিল অনন্য। ছবি: এএফপি

মেসির বাড়ানো বলে ২১তম মিনিটে সুয়ারেজের ওই গোল অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল না হলে বার্সেলোনা প্রথম গোল তখনই পেত। অবশ্য এরপর খুব বেশি ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়নি বার্সা সমর্থকদের। ২৯ মিনিটে সেই মেসি-সুয়ারেজই বল জালে জড়ান। মেসির অসাধারণ এক পাসে নিখুঁত ফিনিশিংয়ের উদাহরণ তৈরি করেন বার্সেলোনার উরুগুইয়ান তারকা সুয়ারেজ। তাহলে মেসি বাদ যাবেন কেন! মিনিট চারেক পর মেসি নিজেও বল জালে জড়ান। এবার গ্রহের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে বলের জোগান দেন সুয়ারেজই। এর মিনিট দু-এক আগেই অবশ্য গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু মেসি-গ্রিজমানের বল দেওয়া নেওয়ার পর ডি বক্সে জায়গা মতো কেউ ছিল না।

সুয়ারেজকে দিয়ে গোল করানোর পর গোল করেন মেসি নিজেও। ছবি: রয়টার্স
সুয়ারেজকে দিয়ে গোল করানোর পর গোল করেন মেসি নিজেও। ছবি: রয়টার্স

দ্বিতীয়ার্ধে ডর্টমুন্ড বলের দখল নিয়ে খেললেও বার্সেলোনার একের পর এক আক্রমণ সামাল দিতেই দিশেহারা হয়ে পড়ে তাদের রক্ষণ। পাল্টা আক্রমণে ডর্টমুন্ডও বার্সেলোনার সীমানায় ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু আজ কাতালানদের রক্ষণ ছিল দুর্ভেদ্য। উল্টো ৬৭ মিনিটে গোলহজম করে বসে অতিথিরা। এবার ডর্টমুন্ড সমর্থকদের বুকে ছুরি চালান গ্রিজমান। গ্রিজমানকে মেসি যে পাস দিয়েছেন—এক কথায় চোখে লেগে থাকার মতো। ৭৫তম মিনিটে ফের গোলের সুযোগ পান মেসি। তবে এবার ভাগ্যদেবী তার সঙ্গে ছিলেন না হয়তো! গ্রিজমানের গোলের মিনিট দশেক পর ডর্টমুন্ডের হয়ে জেডন সানচোর গোলটি সফরকারীদের জন্য সান্ত্বনা হয়েই রইল।