মাঠে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখছিলেন আফ্রিদি

একমাত্র উইকেটটি আফ্রিদিই পেয়েছেন, কিন্তু তাঁর ফিল্ডিং খেপিয়ে দিয়েছে ওয়াসিম আকরামকে। ছবি: এএফপি
একমাত্র উইকেটটি আফ্রিদিই পেয়েছেন, কিন্তু তাঁর ফিল্ডিং খেপিয়ে দিয়েছে ওয়াসিম আকরামকে। ছবি: এএফপি

বৃষ্টিবিঘ্নিত অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। দিবারাত্রির টেস্ট, গোলাপি বল আর বৃষ্টিস্নাত কন্ডিশন—কোনো কিছুই বাঁধা হয়ে উঠতে পারেনি এই ওপেনারের সামনে। পাকিস্তানের পেসারদের অসহায় বানিয়ে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে ফিফটিটা ছুঁয়েছেন আরও চমকপ্রদভাবে। প্রথমবার ব্যাট তোলার মুহূর্তটা এসেছে এক ছক্কার সুবাদে। আর এ মুহূর্তই খেপিয়ে দিয়েছে ওয়াসিম আকরামকে।

আকরামের ক্ষুব্ধ হওয়ার ব্যাখ্যা ওয়ার্নারের ছক্কাতেই পাওয়া যাবে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওয়ার্নার তখন ৪৭ রানে। মোহাম্মদ আব্বাসের বল ফাইন লেগের দিকে ঠেলে দিয়েই ছুটেছেন ওয়ার্নার। ওখানে দায়িত্বে থাকা ফিল্ডার শাহীন শাহ আফ্রিদি যদি প্রস্তুত থাকতেন তবে এক রানের বেশি হয় না। কিন্তু আয়েশি আফ্রিদির অপ্রস্তুত থাকার সুযোগ নিয়ে দুই রান নিয়ে ফেলেছেন ওয়ার্নার। ৪৯ রানে পৌঁছে একটু দম নেবেন বলে ভাবছিলেন ওয়ার্নার। কিন্তু তাঁর আগেই ফিফটি হয়ে গেল! প্রাথমিক আলস্যের দাম চুকাতে তড়িঘড়ি করে জোরে থ্রো করেছিলেন আফ্রিদি। আর সে বল ইয়াসির শাহ ও শান মাসুদের ঠিক মাঝে পড়ে সীমানা পার! আফ্রিদির সুবাদে ৬ রান পেয়ে যান ওয়ার্নার।

পঞ্চাশ পেরিয়ে খুব বেশি উদ্‌যাপন করার আগ্রহ দেখাননি ওয়ার্নার। ফক্স ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকার কেরি ও’কিফ এ নিয়ে বলছিলেন, ‘এটা হচ্ছে তাঁর উদ্‌যাপন যে জানে তার কাজ এখনো সে হয়নি। রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে সে যে আগ্রাসন দেখিয়েছে, সেটাই ওভার থ্রো করতে বাধ্য করেছে।’

তাঁর ধারাভাষ্যকার সঙ্গী ওয়াসিম আকরাম অবশ্য তখন ব্যস্ত উত্তরসূরিদের সমালোচনায়, ‘শাহীন শাহ আফ্রিদি ফাইন লেগে “লালা ল্যান্ডে” (স্বপ্ন রাজ্যে) ছিল। ইয়াসির শাহ ও শান মাসুদও হয়তো হাই তোলায় ব্যস্ত ছিল। পাকিস্তান ক্রিকেটের সমস্যা এটাই। সবার উচিত বলে চোখ রাখা। কেউ বলটা আটকানোর জায়গায় ছিল না। যত অনভিজ্ঞ হোন না কেন, নতুন ব্যাটসম্যান এলে একজন ফিল্ডারের অবশ্যই সীমানা থেকে পাঁচ-দশ গজ সামনে এসে দাঁড়ানো উচিত, সীমানায় নয়।’

পাকিস্তানের ফিল্ডার ও বোলারদের অমনোযোগী আচরণের সুবিধা পুরোপুরি তুলে নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১ উইকেটে ২১৮ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৮ রানে বার্নসের বিদায়ের পর আর পাকিস্তানকে কোনো সাফল্য পেতে দেননি ওয়ার্নার (১১৫) ও মারনাস লাবুশেন (৮৪)।