'কোহলি ভালো তবে টেন্ডুলকারের কাতারে নেই'

শচীন টেন্ডুলকার ও বিরাট কোহলি। এএফপি ফাইল ছবি
শচীন টেন্ডুলকার ও বিরাট কোহলি। এএফপি ফাইল ছবি

বিরাট কোহলি এ মুহূর্তে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ব্যাটসম্যান। বাকি দুই সংস্করণেও তাঁকে বিশ্বসেরাদের একজন হিসেবে মানা হয়। ওয়ানডেতে শচীন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডটি হয়তো ভেঙেই ফেলবেন কোহলি। তাই বলে কোহলি ও টেন্ডুলকারকে একই কাতারে রাখতে রাজি নন আবদুল রাজ্জাক। পাকিস্তানের সাবেক এ অলরাউন্ডার ভারতের অধিনায়ককে ‘ভালো খেলোয়াড়’ বলে মনে করলেও টেন্ডুলকারকে রাখছেন আলাদা কাতারে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড টেন্ডুলকারের। অনেকেই এখন টেন্ডুলকারের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে টেনে আনেন তাঁর উত্তরসূরি কোহলিকে। কিন্তু রাজ্জাক এ তুলনায় বড় একটা ফাঁক দেখতে পান। আধুনিক ক্রিকেটে বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের প্রকট অভাব ও দলগুলোর শক্তিতে তেমন গভীরতা নেই বলেই মনে করেন রাজ্জাক। সরাসরি না বললেও রাজ্জাক বুঝিয়ে দেন, এখন এ সংকটের মাঝে কোহলির গাদা গাদা রানের সঙ্গে টেন্ডুলকারের সময়ের তুলনা চলে না।

‘ক্রিকেট পাকিস্তান’-এর সঙ্গে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে রাজ্জাক বলেন, ‘১৯৯২ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে খেলা ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বললে বুঝবেন তখন ক্রিকেট কেমন ছিল। তখন বিশ্বমানের খেলোয়াড়েরা ছিলেন। এখন আর তেমন নেই। বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং—কোনো কিছুতেই গভীরতা নেই। সবাই শুধু মৌলিক কাজটা করে যাচ্ছে।’ কোহলি-টেন্ডুলকারের তুলনায় রাজ্জাকের ব্যাখ্যা, ‘হ্যাঁ, বিরাট কোহলি ভালো খেলোয়াড় এবং ধারাবাহিক। কিন্তু তাকে শচীন টেন্ডুলকারের কাতারে রাখা যায় না। সে আলাদা কাতারের খেলোয়াড়।’

>

বিরাট কোহলি ও শচীন টেন্ডুলকারকে এক কাতারে রাখতে রাজি নন আবদুল রাজ্জাক। এখন বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের অভাব এবং দলগুলোর শক্তিতে গভীরতা নেই বলেই মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক এ অলরাউন্ডার

একই সাক্ষাৎকারে ভারতের পেসার যশপ্রীত বুমরাকে নিয়েও কথা বলেন রাজ্জাক। ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় এ পেসারকে নিজের সামনে ‘শিশু বোলার’ বলেই মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনে সেরা বোলারদের সঙ্গে বুমরার তুলনা টেনে রাজ্জাক ব্যাখ্যা করেন, ‘নিজের সময়ে বিশ্বসেরা বোলারদের খেলেছি। তাই বুমরার মতো বোলারকে খেলতে সমস্যা হতো না। চাপটা তার ওপরেই থাকত।’

পাকিস্তানের জার্সিতে ১৯৯৬ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটে রাজ্জাকের। শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছেন ২০১৩ সালে। ৪৬ টেস্ট ও ২৬৫ ওয়ানডে খেলা রাজ্জাক নিজের খেলোয়াড়ি সময়ে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারই ছিলেন। ২০০২ সালে অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে উঠে এসেছিলেন তিনি।