বিপিএলের উদ্বোধন উপভোগ করছেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কাল যে অনুষ্ঠানসূচি পাঠিয়েছিল, তাতে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে। অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে সন্ধ্যা ৬টায়। শিল্পীদের মঞ্চে ওঠার সময়টাও ঠিক থাকেনি। জেমসের ওঠার কথা ৬টায়, বাংলাদেশের এ তারকা শিল্পী উঠলেন সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে। ঠিক থাকেনি শিল্পীদের মঞ্চে ওঠার ক্রমও।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সান্নিধ্যে সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ । ছবি: বিসিবির সৌজন্যে
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সান্নিধ্যে সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ । ছবি: বিসিবির সৌজন্যে

অনুষ্ঠানের সূচি একটু এলোমেলো হলেও বিপিএলের বর্ণিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এলেন নির্ধারিত সময়ের একটু আগেই। ঠিক ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করলেন, চারদিক রঙিন হলো আতশবাজির আলোয়। উদ্বোধনী ঘোষণায় শেখ হাসিনা বিপিএলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানালেন। সাফল্য কামনা করলেন বিশাল এ আয়োজনের।

মিরপুরের আকাশে যখন আলোর ঝরনাধারা, তখন মঞ্চ কাঁপাতে এলেন জেমস। স্বকীয় গায়কিতে তাঁর জনপ্রিয় ‘সুলতানা বিবিয়ানা’, ‘মা’, ‘সুন্দরীতমা’, ‘চল চলে’ গান চারটি গেয়ে দর্শক মাতিয়ে বিদায় নিতেই এলেন উপমহাদেশের আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সনু নিগম। নিজের জনপ্রিয় গান তো ছিলই, সনু মুগ্ধ করলেন দুটি বাংলা গান গেয়ে। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা জানিয়ে ভারতীয় তারকা শিল্পী গাইলেন ‘ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ ও ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি’ গান দুটি। প্রধানমন্ত্রী দারুণ উপভোগ করলেন সনুর কণ্ঠে দুটি কালজয়ী বাংলা গান।

জমকালো শুরু বিপিএলের
জমকালো শুরু বিপিএলের

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে মঞ্চে আসেন ‘ডি রক স্টার’খ্যাত শুভ। তাঁর পরে আসেন রেশমি মির্জা। এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে বাদ রয়েছেন শুধু মমতাজ। তাঁর অবশ্য মঞ্চে ওঠার কথা ছিল সনু নিগমের আগেই। কেন ক্রমটা বদলে গেল, ঠিক পরিষ্কার নয়। রঙিন-বর্ণিল অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্বটা শুরু হওয়ার কথা রাত সাড়ে ৯টার পর। তখন মঞ্চে উঠবেন বলিউড তারকা সালমান খান-ক্যাটরিনা কাইফ। তারকা শিল্পীদের পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে থাকবে ‘ফায়ার ওয়ার্ক’ আর ‘লেজার শো’।

রাত ৮টায় অনুষ্ঠানের এতটুকু আয়োজনের পর আয়োজকেরা অবশ্য বলতে পারেন, ‘দ্য নাইট ইজ স্টিল ইয়াং!’