ভারতকে উড়িয়ে দিলেন হেটমায়ার

হেটমায়ারের ইনিংস ভারতকে কোনো সুযোগ দেয়নি আজ। ছবি: এএফপি
হেটমায়ারের ইনিংস ভারতকে কোনো সুযোগ দেয়নি আজ। ছবি: এএফপি

প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে খুব পছন্দ করেন শিমরন হেটমায়ার। ভারতের মাটিতেই সবচেয়ে দুর্দান্ত ফর্মে পাওয়া যায় তাঁকে। দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতিতে সেটা যদি কেউ ভুলে গিয়ে থাকে, সেটা আবারও মনে করিয়ে দিলেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে ভারতের বোলিং আক্রমণকে দুমড়েমুচড়ে দিয়েছেন। আর সে ইনিংসে চড়ে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

২০১৯ সালে ওয়ানডের শীর্ষ দুই রানসংগ্রাহক ভারত দলেই খেলেন। বিরল এক দৃশ্য সৃষ্টি করে ব্যর্থ হয়েছেন দুজনই। রোহিত শর্মা তবু ৩৬ রান করতে পেরেছিলেন। শেলডন কটরেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে মাত্র ৪ রান করেছেন বিরাট কোহলি। ৮০ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ভারতকে টেনে নিয়েছেন শ্রেয়াস আয়ার (৭০) ও ঋষভ পন্ত (৭১)। এ দুজনের ১১৪ রানের জুটির পর শেষ দিকে দলকে টেনেছেন কেদার যাদব (৪০) ও রবীন্দ্র জাদেজা (২১)। ৮ উইকেটে ২৮৭ রান তুলে থেমেছিল ভারত।

নিজেদের মাঠে রানকে জয়ের জন্য যথেষ্ট বানানোর ক্ষমতা ভারতীয় বোলিং লাইনআপের আছে। পঞ্চম ওভারে সুনীল আমব্রিসকে তুলেও নিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব রেকর্ড গড়া দীপক চাহার। কিন্তু ১১ রানে প্রথম উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজের তাতে লাভই হয়েছে। উইকেটে যে নেমেছেন হেটমায়ার। একদিকে ইনিংসের হাল ধরেছেন শাই হোপ, অন্যদিকে তোপ দেগেছেন হেটমায়ার। ফলে হোপের ৬০-এর নিচের স্ট্রাইক রেটের পরও প্রয়োজনীয় গতিতে রান তুলেছে উইন্ডিজ।

হেটমায়ার ক্যারিয়ারের পঞ্চম ও ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ৮৫ বলে। তাঁর সেঞ্চুরিগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে ধীরগতির! ৮ চার ও ৪ ছক্কায় সেঞ্চুরি পেরোনো হেটমায়ার এরপর আরও তিনটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ১০৬ বলে ১৩৯ রান তুলে আউট হয়েছেন শ্রেয়াস আয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এই আয়ারই অবশ্য তাঁকে একবার জীবন উপহার দিয়েছেন। দীপক চাহারের বলে লং অনে ক্যাচ দেওয়ার সময় ১০৬ রানে ছিলেন হেটমায়ার। পরের ১৫ বলে ৩৩ রান তুলে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান আয়ারের যন্ত্রণা বাড়িয়েছেন।

হেটমায়ার যখন আউট হচ্ছেন, তখনো ৬৮ বলে ৫৯ রান দরকার ছিল উইন্ডিজের। ৮ উইকেট হাতে কাজটা বেশ সহজ ছিল। কিন্তু হোপ-পুরান দেখেশুনে খেলতে গিয়ে সমীকরণটা বেশি কাছাকাছি নিয়ে এসেছিলেন শেষ দিকে। হোপ সেঞ্চুরি বুঝে নেওয়ার পর আর দেরি করেননি পুরান। টানা দুই চারে ১৩ বল আগে ম্যাচ শেষ করে এসেছেন। ১৫১ বলে ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন হোপ। ২৩ বলে ২৯ রান করেছেন পুরান।