জাপানি খেলোয়াড় দলে টানল লিভারপুল

তাকুমি মিনামিনো। ছবি : লিভারপুল টুইটার
তাকুমি মিনামিনো। ছবি : লিভারপুল টুইটার
>লিভারপুলে মোটামুটি সব অঞ্চলের খেলোয়াড় থাকলেও এশিয়ার কোনো প্রতিনিধি ছিল না। সে অভাবটাও ঘুচল অবশেষে। অস্ট্রিয়ার ক্লাব রেড বুল সালজবুর্গ থেকে জাপানি মিডফিল্ডার তাকুমি মিনামিনোকে দলে টেনেছে ইংলিশ ক্লাবটি

চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বে এই খেলোয়াড়টা বেশ ‘জ্বালিয়েছিল’ লিভারপুলকে।

এবার গ্রুপপর্বে দুবার মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল আর রেড বুল সালজবুর্গ। লিভারপুলকে খাঁটিয়ে মেরেছিল সালজবুর্গ। আর লিভারপুলকে ‘জ্বালানোর’ কাজটা সবচেয়ে বেশি করেছিলেন জাপানি মিডফিল্ডার তাকুমি মিনামিনো। প্রথম লেগে কষ্টেসৃষ্টে ৪-৩ গোলে লিভারপুল জিতলেও সালজবুর্গের হয়ে একটি গোল করেছিলেন, একটা করিয়েছিলেন মিনামিনো। দ্বিতীয় লেগে গোল না পেলেও জাত চিনিয়েছিলেন আবার। তখন থেকেই তক্কে তক্কে ছিল লিভারপুল, খেলোয়াড়টাকে দলে নেওয়ার জন্য। অবশেষে মিনামিনোকে দলে টেনেছে লিভারপুল। ৭.২৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বাই আউট ক্লজের পুরোটা পরিশোধ করে জাপানি খেলোয়াড়টাকে দলে টেনেছে তারা।

এর মাধ্যমে লিভারপুলের ইতিহাসের সর্ব প্রথম এশীয় খেলোয়াড় হলেন মিনামিনো। প্রিমিয়ার লিগে এশিয়ার নতুন প্রতিনিধিও হলেন তিনি। বর্তমানে মিনামিনো ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার উইঙ্গার হিউয়েং মিন সন (টটেনহাম হটস্পার), ইরানি উইঙ্গার আলী রেজা জাহানবখশ (ব্রাইটন), দক্ষিণ কোরীয় মিডফিল্ডার সুং ইয়ং কি আর জাপানি স্ট্রাইকার ইয়োশিনোরি মুতো (নিউক্যাসল ইউনাইটেড), জাপানি ডিফেন্ডার মায়া ইয়োশিদা (সাউদাম্পটন)—এ কজনই আছেন এশিয়ার প্রতিনিধি।

চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের বিপক্ষে ম্যাচে মিনামিনোর ঝলক দেখেই যে তাঁকে কেনা হয়েছে, এটা সরাসরি অস্বীকার করেছে ক্লাবটি। বলা হচ্ছে, মোটামুটি গত ছয় বছর ধরে মিনামিনোকে চোখে রেখেছিল তারা। ২০১৩ সালের দিকে উরুগুয়ের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার ডিয়েগো ফোরলানের সঙ্গে জাপানি ক্লাব সেরেজো ওসাকায় খেলতেন মিনামিনো। সেখানেই সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছিলেন একবার। তখন থেকেই মিনামিনোকে নজরে রেখেছিল লিভারপুল। পরে ওসাকা থেকে রেড বুল সালজবুর্গে নাম লেখান তিনি। প্রতি মৌসুমে ধীরে ধীরে উন্নতি করছিলেন, সে উন্নতির পরবর্তী ধাপ হিসেবেই লিভারপুলে আসা।

এমনিতেই রেড বুল ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে লিভারপুলের খাতির বেশ আগে থেকে। লিভারপুলের বর্তমান খেলোয়াড় সাদিও মানে ও নাবি কেইটা আগে সালজবুর্গেই খেলতেন। লিভারপুল তাদের একাডেমি কমপ্লেক্সও বানিয়েছে রেড বুল সালজবুর্গের আদলেই। তাদের স্পোর্টিং ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার ফ্রঁদের সঙ্গে লিভারপুলের স্পোর্টিং ডিরেক্টর মাইকেল এডওয়ার্ডসের গলায়-গলায় খাতির। এই খাতিরের সুবাদেই এডওয়ার্ডস জেনে নিয়েছিলেন, মিনামিনোর বাই আউট ক্লজ কত। যেটা লিভারপুল ছাড়া মিনামিনোর প্রতি আগ্রহী অন্যান্য ক্লাব (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, এসি মিলান, বায়ার্ন মিউনিখ, লিঁও ইত্যাদি) জানতে পারেনি। আর সে সুবিধাটাই নিয়েছে লিভারপুল।

লিভারপুলে ১৮ নম্বর জার্সি গায়ে দেবেন মিনামিনো। রবার্তো ফিরমিনো, সাদিও মানে ও মোহাম্মদ সালাহর বিকল্প হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে।