মা আছেন বলেই...

মায়ের সঙ্গে এস্পোসিতোর উদ্‌যাপন। ছবি : ইন্টার মিলান টুইটার
মায়ের সঙ্গে এস্পোসিতোর উদ্‌যাপন। ছবি : ইন্টার মিলান টুইটার
>গতকাল গোল করে ইন্টার মিলানের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হয়েছেন ইতালির স্ট্রাইকার সেবাস্তিয়ানো এস্পোসিতো। গোল করেই উদ্‌যাপন করেছেন গ্যালারিতে থাকা মায়ের সঙ্গে

স্বপ্নের অভিষেক বুঝি একেই বলে।

ক্যারিয়ারের প্রথম পেশাদার ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। তাও আবার নিজের প্রিয়তম ক্লাবের হয়ে। নেমেই করেছেন গোল। গোল করার পর উদ্‌যাপন করেছেন গ্যালারিতে থাকা মায়ের সঙ্গে। গোল উৎসর্গ করেছেন মাকে।

সেবাস্তিয়ানো এস্পোসিতো নিজের অভিষেকের দিনটা মনের মণিকোঠায় বয়ে বেড়াবেন আজীবন।

কে এই এস্পোসিতো? ইন্টার মিলানের ১৭ বছর বয়সী ইতালিয়ান স্ট্রাইকার। এমনিতেই কিছুদিন পর পর নতুন খেলোয়াড় চোটে পড়ছেন ইন্টার মিলানে। একে একে চোটের কারণে এর মধ্যেই বেঞ্চে বসে গিয়েছেন নিকোলো বারেলা, স্টেফানো সেনসি, অ্যালেক্সিস সানচেজ, কাওয়াদো আসামোয়া, মাত্তেও পলিতানোর মতো তারকারা। এই অবস্থায় দলের তরুণ তারকাদের দিকে তাকানো ছাড়া কোচ আন্তোনিও কন্তের কিছু করারও ছিল না। এ কারণেই গতকাল রোমেলু লুকাকুর স্ট্রাইকার সঙ্গী হিসেবে মাঠে নামানো হয়েছিল সেবাস্তিয়ানো এস্পোসিতোকে। নেমেই গোল করে নিজের অভিষেক রাঙিয়েছেন এস্পোসিতো।

গোলের পেছনেও গল্প আছে। ম্যাচের তখন ৬৪ মিনিট। ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা ইন্টার মিলান মাত্রই একটা পেনাল্টি পেয়েছে। দলের তারকা স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু চাইলেই সে পেনাল্টিটা নিজেই নিতে পারতেন। সে পেনাল্টিটা নিলেই বরং তাঁর জন্য লাভ হতো, গতকাল জোড়া গোল করা লুকাকু হ্যাটট্রিক করতে পারেন। কিন্তু সেটা তিনি করেননি। বরং চোখে স্বপ্নের মায়াঞ্জন এঁকে খেলতে নামা তরুণ সতীর্থের দিকে বাড়িয়ে দিলেন বলটা, পেনাল্টি নেওয়ার জন্য।

বল না, যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলেন এস্পোসিতো। গোল করতে একটুও ভুল করেননি তরুণ এই তারকা। আর এই গোল করেই গত ষাট বছরে ইন্টারের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হয়ে গেলেন তিনি, আর সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। ১৯৫৮ সালে ইন্টারের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হিসেবে গোল করেছিলেন কিংবদন্তি ইতালিয়ান উইঙ্গার মারিও করসো।

গোলটা করার পরে নিজের মাকেই উৎসর্গ করেছেন এস্পোসিতো, ‘গোল করার পরে দেখলাম মা স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন। এই গোলটা তাঁর জন্য,’ বলতে বলতে কেঁদে দিয়েছেন এস্পোসিতো!