তামিম-মাশরাফির ভক্ত পাকিস্তানের শেহজাদ

মাশরাফি-তামিম ও কোচ সালাউদ্দিনের ভীষণ পছন্দ পাকিস্তানের ওপেনার শেহজাদের।
মাশরাফি-তামিম ও কোচ সালাউদ্দিনের ভীষণ পছন্দ পাকিস্তানের ওপেনার শেহজাদের।

বিপিএল খেলার সুযোগ পেয়ে আহমেদ শেহজাদকে দেখা যাচ্ছে বেশ উচ্ছ্বসিত! বঙ্গবন্ধু বিপিএলে তিনি খেলছেন ঢাকা প্লাটুনের হয়ে। এই দলে আছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। দুজনের সঙ্গে আগেও খেলেছেন। বাংলাদেশি কোচদের মধ্যে তিনি পাচ্ছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে, যাঁর সঙ্গে আগেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর।

স্বাভাবিকভাবেই আজ সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্লাটুন দলের সঙ্গে প্রথম অনুশীলনে বেশ হাসিখুশি শেহজাদের দেখা মিলল। সতীর্থদের সঙ্গে খুব সহজেই মিশে যেতে পারছেন। নিজ দলের সতীর্থ তো আছেই, প্রতিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গেও তাঁর বেশ ‘সখ্য’ চোখে পড়ল। আবারও বিপিএলে ফিরে বেশ রোমাঞ্চিত শেহজাদ, ‘গত দুই বছর আসতে পারিনি। এবার আসতে পেরে খুশি। আমার পছন্দের কোচকে পাচ্ছি এখানে, মিস্টার সালাউদ্দিন। আমি তাঁর অধীনে খেলতে পছন্দ করি। দ্বিতীয়বারের মতো খেলছি তাঁর সঙ্গে। প্রথমবার শিরোপা জয় করেছিলাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। এবারও শিরোপা জয়ের চেষ্টা থাকবে।’

বিপিএলে আবার একই দলে প্রিয় সতীর্থ-কোচকে পেয়েও ভীষণ খুশি শেহজাদ, ‘তামিম ইকবাল আমার খুবই ভালো বন্ধু, খুবই ভালো ওপেনার। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তাঁর খেলা খুবই পছন্দ করি। আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য মাশরাফি বিন মুর্তজা কী করেছে। দীর্ঘদিন দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি তরুণদের জন্যও অনুপ্রেরণা।’

টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে তামিমকে সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন শেহজাদ। অধিনায়ক হিসেবে পাচ্ছেন মাশরাফিকে। অভিজ্ঞ স্থানীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতে পারায় নিজের কাজটা কিছুটা সহজ হবে, এমন বিশ্বাস শেহজাদের, ‘শক্তির জায়গা মনে হয় স্থানীয় ক্রিকেটাররা। যেমন—তামিম ইকবাল, আমি তাঁর ভক্ত। সে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান, বাঁহাতি, খুবই নান্দনিক। যেদিন সে খেলবে, কেউ নেই যে তাকে থামাতে পারবে। মাশরাফি আরেকজন। বিদেশিদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়। আপনি শুধু এসে দলের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারেন।’

বিপিএল নিয়ে কথা বলার ফাঁকেই শেহজাদের সংবাদ সম্মেলনে চলে আসে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর প্রসঙ্গ। পাকিস্তানি ওপেনার দাবি করলেন তাঁর দেশ নিরাপদ, ‘আমি মনে করি পাকিস্তান নিরাপদ দেশ। আগেও ছিল, এখনো আছে। আমাদের সেনারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতে যা করার দরকার তাই করছে। তারা খুবই ভালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিচ্ছে খেলোয়াড়দের। আর আমরা সবাই জানি পাকিস্তানিরা কতটা অতিথিপরায়ণ হতে পারে। শ্রীলঙ্কা সফর করে গেল কদিন আগে। সফরটা খুবই সফল ছিল। আমার মতে, ক্রিকেট খেলার আদর্শ জায়গা পাকিস্তান।’

একজন পাকিস্তানি হিসেবে শেহজাদ অবশ্যই চাইবেন তাঁদের দেশে দেশে ফিরুক। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) চাইছে পাকিস্তান সফরে যেতে, তবে টেস্ট খেলতে নয়। শুধুই টি-টোয়েন্টি খেলতে। এখনই লম্বা সময়ে পাকিস্তানে অবস্থান করতে রাজি নয় বাংলাদেশ। পিসিবি অবশ্য চাইছে দুই সংস্করণে খেলতে আসুক বাংলাদেশ। দুই বোর্ডের দুই অবস্থানে বিষয়টির সমাধান হয়নি এখনো।