হারের আগে নাটক জমাল সিলেট

বহু চেষ্টাতেও সোহাগ গাজী দলের হার এড়াতে পারলেন না। ছবি: প্রথম আলো
বহু চেষ্টাতেও সোহাগ গাজী দলের হার এড়াতে পারলেন না। ছবি: প্রথম আলো

সিলেট থান্ডার ‘জয়’ শব্দটাই ভুলতে বসেছে। একের পর এক ম্যাচ খেলছে আর হেরে বসছে তারা। আজ কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে মাত্র ১৪০ রানে থামিয়ে দিয়েও হেরেছে তারা। তাও ভালো হারের আগে অন্তত এ ম্যাচটা তারা সুপার ওভারে নিতে পেরেছে। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম সুপার ওভারে মাত্র ৭ রান তুলে কুমিল্লার কাছে হেরে গেল সিলেট। ওই যে, জয় শব্দটার স্বাদটা বড় অচেনা হয়ে উঠেছে সিলেটের জন্য।

শেষ ৪ ওভারে ৩৮ রান দরকার ছিল সিলেটের। ম্যাচটা এ পর্যন্ত আনার কৃতিত্ব সোহাগ গাজীর। ৩৩ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে টেনে এত দূর এনেছেন এই স্পিনিং অলরাউন্ডার। মূল ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও ৩১ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫২ রান করেছেন সোহাগ। কিন্তু মুজীব-উর-রহমানের এক ওভারেই শেষ হয়ে যেতে বসেছিল সিলেট। পাঁচ বলের মধ্যে বিদায় নিয়েছেন নাজমুল হোসেন, নাইম হাসান ও সোহাগ গাজী। ৫ উইকেতে ১০৩ থেকে মুহূর্তেই ৮ উইকেটে ১০৪ হয়ে গেল সিলেট।

সিলেট তবু হাল ছাড়েনি। আল আমিনের ওভার থেকে স্কুপ করে দুটি চার আসায় করে নিয়েছেন নাভীন-উল-হক ও মনির হোসেন। পরের ওভারে ডেভিড ভিসের ওভার থেকেও এক ছক্কা। শেষ ওভারে ১৫ দরকার ছিল সিলেটের। প্রথম দুই বলেই উইকেটের পেছনে বল পাঠিয়ে দুটি চার আদায় করে নিলেন নাভীন। বহুদিন পর স্কুপ প্যাডেলের এত দুর্দান্ত ব্যবহার দেখালেন কেউ। পরের বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট নাভীন। তিন বলে দরকার ছয় রান, এমন অবস্থায় দুই বলে তিন এনে দিলেন মাত্র নামা এবাদত।

শেষ বলে দরকার তিন রান। আল আমিন ওয়াইড দেওয়ায় সমীকরণ নেমে এল দুইয়ে। লং অনে ঠেলে দিয়েই ছুট দিয়েছিলেন মনির। কিন্তু আবু হায়দারের থ্রো তাঁকে দুই রান নিতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম টাই!

সুপার ওভারে মুজীবের প্রথম বলেই চার মেরেছিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার। কিন্তু ফ্লেচার ও রাদারফোর্ড মিলে পরের পাঁচ বলে নিতে পারলেন মাত্র ৩ রান। সুপার ওভারে ৩ বল খেলে মাত্র ১ রান নিয়েছেন রাদারফোর্ড।

৮ রানের লক্ষ্যেও কাঁচুমাচু অবস্থা হয়েছিল কুমিল্লার। দলকে তিন রানে রেখে শূন্য হাতে ফিরেছিলেন সৌম্য। কিন্তু ডেভিড ভিসে পরের দুই বলে পাঁচ রান তুলে ১ বল আগেই নাটক শেষ করেছেন। এ হারে গাণিতিকভাবেও বিপিএলে টিকে থাকার আশা শেষ হয়ে গেল সিলেটের। ৮ পয়েন্ট নিয়ে এখনো পাঁচেই আছে কুমিল্লা।