'গরু চরানো মাঠে'ই বড় জয় বসুন্ধরার

কলিনদ্রেসের দারুণ পারফরম্যান্স দলকে এনে দিয়েছে সহজ জয়। ছবি: প্রথম আলো
কলিনদ্রেসের দারুণ পারফরম্যান্স দলকে এনে দিয়েছে সহজ জয়। ছবি: প্রথম আলো

চমক দেখিয়ে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। কিন্তু আপাতত এখানেই থামল দলটির যাত্রা। আজ বসুন্ধরা কিংস ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশকে। এ নিয়ে টানা দুবার ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠল বসুন্ধরা। আগামী পরশু ফাইনালে বসুন্ধরার প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জ। যদিও মাঠের অবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্ট বসুন্ধরার কোচ অস্কার ব্রুজোন।

দুই দলের মাঝে সবচেয়ে বড় পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছেন দানিয়েল কলিনদ্রেস। তিন গোলের দুটিতেই বড় অবদান তাঁর। সাধারণত লেফট উইংয়ে খেলা কলিনদ্রেসকে সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ডে খেলিয়েছেন কোচ ব্রুজোন। শুরুতে পনেরো মিনিট পুলিশ বেশ দাপটের সঙ্গেই খেলেছে। কিন্তু ১৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বখতিয়ারের ডিফেন্স চেরা পাস ধরে বক্সে ঢোকেন কলিনদ্রেস। পুলিশের মিডফিল্ডার নাজমুল ইসলাম বক্সে অবৈধভাবে ফেলে দেন কলিনদ্রেসকে।

তপু বর্মণ পেনাল্টি থেকে এগিয়ে নেন বসুন্ধরাকে। ৫০ মিনিটে কলিনদ্রেসই উপহার দেন দ্বিতীয় গোল। মাঝমাঠ থেকে কলিনদ্রেস বল নিয়ে একাই ঢোকেন বক্সে। ঠান্ডা মাথায় প্লেসিংয়ে করেন ২-০। আর ম্যাচের যোগ হওয়া সময়ে নিকোলাস দেলমন্তে স্তব্ধ করে দেন পুলিশের ডাগআউট।

হারলেও ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে ছেলেদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পুলিশের কোচ নিকোলা ভিতরোভিচ, ‘এখানে আমাদের টানা খেলতে হয়েছে, যদিও এটাকে হারের অজুহাত হিসেবে দেখছি না। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। বড় দলের সঙ্গে আমাদের মতো ছোট দলের এখানেই পার্থক্য। তারপরও ছেলেরা ইতিহাস গড়েছে। আমি ওদের নিয়ে গর্বিত।’

টানা দুই বার ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠে উচ্ছ্বসিত বসুন্ধরা কিংস কোচ অস্কার ব্রুজোন। সে সন্তুষ্টির ফাঁকেও মাঠ নিয়ে দুঃখের কথা বলতে ভোলেননি, ‘এটা বসুন্ধরা কিংসের প্রত্যাশামাফিক ফল। এমন গরু চরানো মাঠে আক্রমণাত্মক খেলাটা ধরে রেখেই খেলেছে ছেলেরা। এটাকেই আমাদের সেরা ম্যাচ বলব না, শুধু ছেলেদের জয়ের মানসিকতার কারণে জিতেছি।’