বিসিবির চুক্তিতে বাদ সাকিব, থাকবেন মাশরাফি

দেশের দুই বড় ক্রিকেট তারকা মাশরাফি-সাকিব অনেক দিন নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ছবি: প্রথম আলো
দেশের দুই বড় ক্রিকেট তারকা মাশরাফি-সাকিব অনেক দিন নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ছবি: প্রথম আলো
>অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে ১২ তারিখে বিসিবির বোর্ড সভায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় চুক্তি চূড়ান্ত করা

বিসিবির নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে ১২ জানুয়ারি। এবার চুক্তিতে কোন কোন ক্রিকেটার থাকছেন, সেটি এখনো ঠিক না হলেও সাকিব আল হাসান যে থাকছেন না সেটি নিশ্চিত।

আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়ে এখন ক্রিকেটীয় কার্যক্রমের বাইরে আছেন সাকিব। বাঁহাতি অলরাউন্ডারে নিষেধাজ্ঞা উঠবে আগামী অক্টোবরে। সাকিবের যখন ফেরার সময় হবে তত দিনে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ বা প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকবে। এ টুর্নামেন্টে তাঁর খেলা প্রায় অনিশ্চিত। সেটি হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের ফিরতে ফিরতে ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হয়ে যেতে পারে। এ বছরের বেশির ভাগ সময়ই যেহেতু নিষিদ্ধ থাকবেন, বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাঁর থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

কিন্তু চুক্তিতে মাশরাফি বিন মুর্তজা থাকবেন কি থাকবেন না—এটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। গত বিশ্বকাপের পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক। গত সাত মাসে বাংলাদেশ অবশ্য খেলেছেই তিনটি ওয়ানডে। গত বছরের তুলনায় ২০২০ সালে বাংলাদেশের খুব বেশি ওয়ানডে নেই। ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজ, মে মাসে আয়ারল্যান্ড সফর আর বছরের শেষ দিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে—এখন পর্যন্ত এই ৯টি ওয়ানডের সূচি আছে বাংলাদেশের সামনে। ৯ ওয়ানডেতেই মাশরাফি নেতৃত্ব দেবেন কি না, সেটি এখনো বলার উপায় নেই। বিশ্বকাপ থেকে শোনা যাচ্ছে তাঁর অবসরের গুঞ্জন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান গত আগস্টে তাঁকে ডেকে অবসরের ব্যাপারে জানতেও চেয়েছিলেন। এ ব্যাপারে মাশরাফি তখন পরিষ্কার কিছু বলেননি।

মাশরাফি যেহেতু কিছু বলেননি, তাঁকে রেখেই কেন্দ্রীয় চুক্তি সংযোজন-বিয়োজন করতে চাইছে বিসিবি। বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বলছেন, ‘সাকিব যেহেতু নিষিদ্ধ, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাঁর থাকার বিষয় নেই। আর মাশরাফির থাকা না থাকা তাঁর ওপরই নির্ভর করছে।’

২০১৯ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার—মাশরাফি, সাকিব, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। ‘এ’ ক্যাটাগরির তিন ক্রিকেটার ছিলেন ইমরুল, মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে চার ক্রিকেটার—মুমিনুল হক, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। এর বাইরে ‘রুকি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছিল ৫ ক্রিকেটারকে। আবু হায়দার, আবু জায়েদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাঈম হাসান ও খালেদ আহমেদ।