ওভারে পাঁচ ছক্কা মেরে তিনি হাসি ফোটাচ্ছেন কলকাতা ভক্তদের মুখে

ঝড় উঠেছিল ব্যান্টনের ব্যাটে। ছবি : ব্রিসবেন হিটের টুইটার অ্যাকাউন্ট
ঝড় উঠেছিল ব্যান্টনের ব্যাটে। ছবি : ব্রিসবেন হিটের টুইটার অ্যাকাউন্ট
>আইপিএল নিলামে এবার বেশ নীরবেই যোগ দিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। নিলামের আগে উপমহাদেশের কয়জন তাঁকে চিনত, সে প্রশ্ন তোলা যায়। সেই টম ব্যান্টন আইপিএল নিলামের পর নিজের জাত চেনাচ্ছেন। গতকাল বিগ ব্যাশ লিগে এক ওভারে মেরেছেন পাঁচ ছক্কা

এবার আইপিএল নিলামে বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড়কে দলে টেনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সাড়ে ১৫ কোটি রুপি দিয়ে কিনেছে অস্ট্রেলিয়ার পেস তারকা প্যাট কামিন্সকে, প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকায় দলে এসেছেন ইংলিশ অধিনায়ক এয়ুইন মরগান। এ দুই বিদেশির ঔজ্জ্বল্যে টম ব্যান্টনের কলকাতায় আসাটা একটু আড়ালেই পড়ে গেছে।

১ কোটি রুপিতে এ ইংলিশ ওপেনারকে দলে নিয়েছে কলকাতা। ওয়ারউইকশায়ার ও সমারসেটের হয়ে খেলা এ ওপেনার প্রথম আইপিএলে খেলতে আসছেন । আইপিএল নিলামে বিক্রি হওয়ার পর ‘এটা আবার কে’ ভেবে কলকাতা ভক্তরা মাথা চুলকেছেন তা নিশ্চিত। তবে অস্ট্রেলিয়ায় চলতে থাকা বিগ ব্যাশ লিগে ব্রিসবেন হিটের হয়ে যেভাবে ঝড় তুলছেন ব্যান্টন, কলকাতা ভক্তদের কাছে অচেনা থাকার কোনো সম্ভাবনা আর নেই!

একদিন আগেই নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ সুপার স্ম্যাশে নর্দান নাইটসের বিপক্ষে ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন কান্টারবুরি কিংসের কিউই ব্যাটসম্যান লিও কার্টার। সেটা দেখেই কি না, ঝড় তোলার সাধ হলো ব্যান্টনেরও! সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে মাত্র ১৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন ব্রিসবেন হিটের এই ইংলিশ। ব্যান্টনের ইনিংসে সাজানো ছিল সাতটি ছক্কা ও দুটি চারে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার অর্জুন নায়ারের এক ওভারেই পাঁচটি বিশাল ছক্কা মেরেছেন তিনি।

বৃষ্টির জন্য ম্যাচের ওভার সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছিল। নির্ধারিত ৮ ওভারে ব্রিসবেন হিট চার উইকেটে ১১৯ রান তোলে। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে অর্জুন নায়ারের ওপর দিয়ে ঝড় চালান ব্যান্টন। ওভারে পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। মাত্র ১৬ বলে ফিফটি করা ব্যান্টন শেষমেশ ১৯ বলে ৫৬ রান রান করে ক্রিস ট্রেমাইনের বলে দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ক্রিস মরিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।

আইপিএল নিলামের পরদিনই বিগ ব্যাশে মাত্র মেলবোর্ন স্টারসের বিপক্ষে ৩৬ বলে ৬৪ রান করেছিলেন। দলে যে সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল, এয়ুইন মরগান আর প্যাট কামিন্স ছাড়াও নির্ভর করার মতো বিদেশি আছে, এটা দেখে কলকাতা সমর্থকদের মনে শান্তি আসবে নিশ্চিত!