নিজেদের 'ছন্দ' ধরে রেখে শেষ করল সিলেট

কুমিল্লার হয়ে ফিফটি তুলে নেন সৌম্য সরকার। ছবি: প্রথম আলো
কুমিল্লার হয়ে ফিফটি তুলে নেন সৌম্য সরকার। ছবি: প্রথম আলো
বিপিএলে আজ নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে সিলেট থান্ডার


জয়ের জন্য শেষ ৪২ বলে ৭৬ রান দরকার ছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের। এখান থেকে ম্যাচটা যেকোনো দিকেই মোড় নিতে পারত। সৌম্য সরকার ও ডেভিড মালান মিলে সমীকরণটা নামিয়ে আনলেন ৩০ বলে ৪৬ রানে। তখন জয়ের পাল্লা কুমিল্লার দিকেই বেশি ভারী ছিল। হাতে তখনো ৭ উইকেট। সিলেট থান্ডার এখান থেকে শত চেষ্টা করেও নিজেদের ‘ছন্দ’ হারাতে পারেনি। শেষ ম্যাচেও ছন্দ ধরে রাখল সিলেট।

এই অন্য রকম ‘ছন্দ’-এর ব্যাখ্যা দিতেই হয়। সিলেট এবার বিপিএলে হারকে যেন পরিণত করেছে অভ্যাসে—রসিক ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে হারের এ অভ্যাসটাই তো একরকম ছন্দ! সেটি যে পথেই হোক না কেন। ১২ ম্যাচ খেলে টেবিলের তলানিতে থেকে বিপিএল শেষ করা সিলেট জিতেছে মাত্র ১ ম্যাচ। টানা ৪ ম্যাচ হারের পর চট্টগ্রামে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে জিতেছিল সিলেট। এরপর আবার হেরেছে টানা ৬ ম্যাচ। দুঃখিত, ৭ ম্যাচ। কেননা, আজ শেষ ম্যাচেও তো কুমিল্লার কাছে হার ৫ উইকেটের ব্যবধানে।

শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচেও ব্যাটিং ভালো হয়নি সিলেটের। কোনো ফিফটি ছাড়াই উঠেছে ৫ উইকেটে ১৪১ রান। এ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে কুমিল্লাও ভুগেছে। ৪ ওভারের মধ্যে মাত্র ১০ রানে নেই দুই ওপেনার! ফারদিন হাসান ও উপুল থারাঙ্গাকে তুলে নিয়েছেন স্পিনার নাঈম হাসান। সাব্বির রহমানের জায়গায় চারে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও মনে করিয়ে দিয়েছেন ‘টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ’ তকমা পাওয়া ব্যাটসম্যানটিকে—৯ বলে যে ১১ রান করেই আউট মাহিদুল। কুমিল্লা তখন ৭.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২। এখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ৪৮ বলে ৭২ রানের ম্যাচ জেতানো জুটিটা গড়েছেন সৌম্য সরকার ও ডেভিড মালান।

৪৯ বলে ৫৮ রান করা মালান যখন আউট হলেন ২৫ বলে ৩৮ রান দরকার ছিল কুমিল্লার। এখান থেকে প্রায় একাই জয়ের সমীকরণ শেষ ওভারে ৪ রানে নামিয়ে আনেন সৌম্য। এরপর আর কোনো অসুবিধা হয়নি কুমিল্লার। জনসন চার্লসের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন সৌম্য। সঙ্গে তুলে নেন নিজের ফিফটিও। ৩০ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য। এ জয়ে ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে কুমিল্লা।

জনসন চার্লস? প্রশ্ন জাগতেই পারে। ক্যারিবিয়ান এ ওপেনার আবার বল করেন নাকি! তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার দেখে জানা গেল আজকের আগে বল করেছেন মাত্র ৩ ইনিংসে। ডেলিভারি মাত্র ১৮টি! জাতীয় দলে খেলা স্পিনার নাজমুল ইসলামকে দিয়ে বল করানোর আগে এ পেসারকে (!) দিয়ে দুই ওভার বল করিয়েছেন এ ম্যাচের সিলেট অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার। ডেভিড ভিজেকে আউট করলেও ৩.১ ওভারে ৩৪ রান দিয়েছেন চার্লস। চোখে লাগার মতো বিষয় হলো, চার্লস তাঁর প্রথম দুই ওভার করার পর ম্যাচের সমীকরণ ৪৮ বলে ৮৭ থেকে নেমে এসেছে ৩০ বলে ৪৬ রানে।