বাজি ধরে নানার ভবিষ্যদ্বাণী, ২৪ লাখ জিতল নাতির পরিবার

ডম সিবলি। কেপটাউন টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পান সিবলি। ছবি: বিবিসি স্পোর্ট টুইটার পেজ
ডম সিবলি। কেপটাউন টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পান সিবলি। ছবি: বিবিসি স্পোর্ট টুইটার পেজ
>ম্যাকেঞ্জি বলতেন একদিন ইংল্যান্ড দলে খেলবে তাঁর নাতি ডম সিবলি। গত বছরের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হতেই স্বপ্ন পূরণ হয় সিবলির নানাভাইয়ের

ডম সিবলির নাম ক্রিকেট-বিশ্বে এখন সবাই জানেন। কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের চতুর্থ টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ২৪ বছর বয়সী ইংলিশ ওপেনারের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করছেন অনেক ক্রিকেট পণ্ডিতই। তাঁর মধ্যে খুঁজে পাচ্ছেন প্রতিভাবান একজন ব্যাটসম্যানকে। সিবলির এই প্রতিভা শৈশবেই দেখতে পেয়েছিলেন তাঁর নানা কেনেথ ম্যাকেঞ্জি। সিবলির যখন ৫-৬ বছর বয়স, ম্যাকেঞ্জি বলতেন একদিন ইংল্যান্ড দলে খেলবে তাঁর নাতি।

ম্যাকেঞ্জির আত্মবিশ্বাস এতটাই ছিল যে সিবলির ১৬ বছর বয়সে এটা নিয়ে বাজি ধরে বসেন। সিবলি একদিন ইংল্যান্ড দলে খেলবে—এমন দুটি বাজি ধরেছিলেন তাঁর নানা। ২০১১ সালে বাজি দুটি ধরার কিছুদিন পরই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না-ফেরার দেশে পাড়ি জমান ম্যাকেঞ্জি। গত বছরের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হতেই স্বপ্ন পূরণ হয় সিবলির নানাভাইয়ের। একই সঙ্গে সিবলির পরিবারও একটি রেকর্ড গড়ে। কারও প্রতিভার ছাপ বুঝতে পেরে ইংল্যান্ড দলে খেলবে ভবিষ্যদ্বাণী করে বাজি ধরে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাওয়ার রেকর্ড। ম্যাকেঞ্জি বাজি দুটি জেতায় ২১ হাজার ৬০০ পাউন্ড পেয়েছে সিবলির পরিবার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটা ২৪ লাখ টাকারও বেশি।

তবে বাজি জয়ের বিষয়টি সিবলির মা ক্রিস্টিন সিবলি জানতে পারেন অনেক পরে। বাজির প্রতিষ্ঠান উইলিয়াম হিল থেকে তাঁকে ফোন করে ডেকে নেওয়া হয়েছিল সম্প্রতি। সেখানেই তাঁকে বিষয়টি জানানো হয়। পুরো ঘটনা শুনে ক্রিস্টিন আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন, ‘উনি বেঁচে থাকলে ডমের এই অর্জনে খুব খুশি হতেন।’