জেদ্দায় 'হারিয়ে গিয়েছিল' মেসিদের বাস

ইতিহাদ স্পোর্টস সিটির মাঠে বার্সার অনুশীলনে লিওনেল মেসি। ছবি: বার্সেলোনা টুইটার পেজ
ইতিহাদ স্পোর্টস সিটির মাঠে বার্সার অনুশীলনে লিওনেল মেসি। ছবি: বার্সেলোনা টুইটার পেজ

স্প্যানিশ সুপার কাপ খেলতে বার্সেলোনা দল এখন সৌদি আরবে। আজ রাতে সেমিফাইনালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে কাতালান ক্লাবটি। এ ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে কাল অনুশীলনে যাওয়ার পথে কী হ্যাপা-ই না পোহাতে হলো বার্সাকে!

গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ৫.৪৫ মিনিটে আল-ইতিহাদ স্পোর্টস সিটিতে সংবাদ সম্মেলনে থাকার কথা ছিল বার্সা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে ও মিডফিল্ডার সার্জিও বুসকেটসের। অনুশীলন করার জন্য এ জায়গাটা বেছে নেয় বার্সার টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু গড়বড় করে ফেলেন বার্সা দলকে বহনকারী বাসের চালক। আল-ইতিহাদ স্পোর্টস সিটিতে না গিয়ে তিনি ভুল করে রওনা দেন কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে।এ মাঠেই আজ বাংলাদেশ সময় রাতে সেমিফাইনাল খেলতে নামবেন লিওনেল মেসিরা। কাল রাতে এ মাঠেই গড়িয়েছে আরেক সেমিফাইনাল—রিয়াল মাদ্রিদ বনাম ভ্যালেন্সিয়া।

>

সৌদি আরবে অনুশীলনে যাওয়ার পথ ভুল করেছিল বার্সেলোনা দলকে বহনকারী বাস। যানজটের গোলকধাঁধায় পরে অনুশীলনের মাঠে পৌঁছাতে দেরি হয় লিওনেল মেসিদের

ইতিহাদ স্পোর্টস সিটি এবং কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটির মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৪০ মাইলের মতো। এর মাঝে রাস্তায় যানজটের গোলকধাঁধায় পড়েছে বার্সার খেলোয়াড়দের বহনকারী বাস। এতে অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনটা আর ঠিক সময়ে করতে পারেননি বার্সা। বাধ্য হয়েই দেরি হয়েছে। এ নিয়ে ভালভার্দে বলেন, ‘আমরা জানি এ শহরের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। কিন্তু খানিকটা ভুল হয়ে গেছে। রিয়াল মাদ্রিদ ও ভ্যালেন্সিয়া আজ (কাল) যে মাঠে খেলবে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। ভুলটা পৌঁছানোর আগেই সে (চালক) বুঝতে পেরেছে কিন্তু যানজটের কারণে দেরি হয়ে গেল।’

সৌদি আরবে পৌঁছে ফুটবলের পাশাপাশি ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও চোখ রাখতে হচ্ছে বার্সাকে, এর আগে জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম।‘মার্কা’র খবর, ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির জের সৌদি আরবে পড়ে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কাতালান ক্লাবটি। ইরানের সঙ্গে সৌদির পূর্বের বিরোধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির মিত্রসুলভ সম্পর্ক ভাবিয়ে তুলেছে বার্সাকে। দেশটির সঙ্গে সৌদির সীমানা না থাকলেও ধর্মীয়, ভূ-রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক বিরোধ রয়েছে। তবে সৌদিতে স্পেনের চারটি দলই জোরদার নিরাপত্তা পাচ্ছে।