স্ত্রীকে কোন কোন ভাষায় ভালোবাসি বলেন জামাল ভূঁইয়া?

জামাল ভূঁইয়া। ফাইল ছবি
জামাল ভূঁইয়া। ফাইল ছবি

জন্ম ও বেড়ে ওঠা ডেনমার্কে। জামাল ভূঁইয়ার ফুটবলার হয়ে ওঠাও সেখানেই। তবে শিকড় গাঁথা তো বাংলাদেশে। তাই প্রবাসী ফুটবলার অন্তর্ভুক্তির সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ দলে ফেরেন জামাল ভূঁইয়া। ছয় বছর পর বাংলাদেশ দলের অধিনায়কই তিনি। সাবেক প্রবাসী হিসেবে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়া বড় ব্যাপারতো বটেই। এই হোল্ডিং মিডফিল্ডার এখন বাংলাদেশের ফুটবলের বড় বিজ্ঞাপন।

অক্টোবরে কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ–পূর্ববতী সংবাদ সম্মেলনে তবু জামালের দিকে ধেয়ে এসেছিল একটি প্রশ্ন, ‘আপনি বাংলা বোঝেন কি না। গ্যালারি থেকে কলকাতার দর্শকেরা অনুপ্রেরণা জোগালে বুঝবেন কি না?’

ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর পা থেকে বল কেড়ে নেওয়ার ঢঙে বাংলাদেশ অধিনায়কের জবাব ছিল, ‘আমি পাঁচটা ভাষায় কথা বলতে পারি।’ তবে সেই সংবাদ সম্মেলনে তো নয়ই, এরপরও আর কখনো বাংলাদেশ অধিনায়কের মুখ থেকে শোনা হয়নি সেই পাঁচটি ভাষা কী কী? ‘ড্যানিশ, নরওয়িজ, সুইডিশ, বাংলা ও ইংরেজি। হাইস্কুলে পড়ার সময় স্প্যানিশ ভাষাও শিখেছিলাম।’

এই পাঁচটি ভাষা কীভাবে শোনা যায় জামালের মুখ থেকে? সদ্যবিবাহিত স্ত্রীর উদ্দেশে পাঁচটি ভাষা বলার অনুরোধ জানাতেই ইংরেজি দিয়ে শুরু করলেন জামাল, ‘আই লাভ ইউ—আমি তোমাকে ভালোবাসি; ইয়েগ এলস্কার দাই (ড্যানিশ)।’ সুইডিশ ও নরওয়িজ ভাষার বুলি দুটি অনেকটা ড্যানিশের মতোই।

মাঠে জামাল যতটা সাবলীল, খেলার বাইরে তাঁর মুখ থেকে কথা বের করা অনেক কঠিন কাজ। হ্যাঁ-না অথবা আকার-ইঙ্গিতেই বেশির ভাগ প্রশ্নের জবাব দেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। বিয়ে করে ডেনমার্ক থেকে ফেরার পর এখনো কিছুটা নতুন জামাই মেজাজে আছেন। ৫ জানুয়ারি ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে তাঁর বিয়ে হয়েছে। স্ত্রী পুরান ঢাকার মেয়ে, জার্মানিতে পড়াশোনা করছেন কম্পিউটার সায়েন্সে। বিয়ের পর ফুটবলের টানে জামাল ফিরেছেন ঢাকায়। আর পড়াশোনার জন্য জার্মানিতে ফিরেছেন স্ত্রী।