জেমি ডের ছুটি বিলাস

বাংলাদেশ ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশ ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। ছবি: প্রথম আলো
>

জরুরি প্রয়োজন হলে ভিন্ন কথা। কিন্তু জরুরি প্রয়োজন না হলেও কোচ জেমি ডে তাঁর লন্ডনের বাড়িতেই থাকেন বেশি। তিনি ঢাকায় আসেন অনেকটা ‘অতিথি’র মতো।

জাতীয় দলের ম্যাচের কয়েক দিন আগে তিনি আসেন। ম্যাচ শেষে আবার চলে যান। এটাই যেন অলিখিত নিয়ম! জাতীয় দলের কোচ জেমি ডেকে সেভাবে পাওয়াই যায় না ঢাকায়।

চুক্তি অনুযায়ী বছরে দুবার বাফুফে তাঁকে ফিরতি টিকিটসহ চারটি টিকিট দেয়। জরুরি প্রয়োজন হলে ভিন্ন কথা। কিন্তু জরুরি প্রয়োজন না হলেও কোচ তাঁর লন্ডনের বাড়িতেই থাকেন বেশি। তিনি ঢাকায় আসেন অনেকটা ‘অতিথি’র মতো। এবারও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ শেষে কোচ গতকাল চলে গেছেন নিজের বাড়িতে। এর আগে প্রায় দুই মাস পর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কোচ ঢাকায় এসেছিলেন। জাতীয় দলের ম্যাচ না থাকলে তাঁকে অন্যভাবে কাজে লাগানোর কথা বাফুফে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। অনেকে বলেন, কোচ ঢাকায় না থাকলে বাফুফের হোটেলসহ আনুষঙ্গিক খরচ কমে যায়। তাই বাফুফে কোচের ইচ্ছায় বাদ সাধে না।

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম গতকাল বলেছেন, ‘কোচ চলে আসবেন লিগ শুরু হলেই। তা ছাড়া তাঁর ভিসার মেয়াদও বাড়াতে হবে।’ ভিসার মেয়াদ তো ঢাকাতেই বাড়ানো যেত! বাফুফের সাধারণ সম্পাদক সেটি মেনে নিয়ে আবার বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগ শুরু হলে তিনি চলে আসবেন, সেই নিশ্চয়তা দিয়ে গেছেন।’

প্রিমিয়ার লিগ শুরু হওয়ার কথা আগামীকাল থেকে। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবলে খেলা পেছানোর সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দ্বাদশ পেশাদার ফুটবল লিগও অন্তত সাত-আট দিন পেছাচ্ছে। আজ বাফুফের লিগ কমিটির সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে লিগ শুরু হলেও কোচের ঢাকায় ফেরার নিশ্চয়তা নেই। কারণ, জেমি ডে ঘরোয়া ফুটবল খুব একটা দেখেন না। তিনি নাকি অনলাইনে খেলা দেখে জাতীয় দলের খেলোয়াড় নির্বাচন করেন!