'পিছিয়ে দেওয়া'র অভ্যেসটা গেলই না বাফুফের

পেশাদার লিগ কমিটির সভা। ছবি: বাফুফে
পেশাদার লিগ কমিটির সভা। ছবি: বাফুফে
>ঘোষিত যেকোনো সূচি পিছিয়ে দিতে জুড়ি নেই বাফুফের। বহু বছর ধরে বাংলাদেশের ফুটবলে চলছে ‘পিছিয়ে দেওয়া’র সংস্কৃতি। এবারও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ পিছিয়ে গেছে দুই দফা। নতুন ঘোষিত সূচিতেও তাই ভরসা নেই ফুটবলবোদ্ধাদের।

‘ভাই লিগটা সময় মতো হবে?’

বিকেলে প্রশ্নটি ছিল আবাহনী লিমিটেডের এক ফুটবলারের। তাঁর কণ্ঠে ঘোষিত সময়ে প্রিমিয়ার লিগ শুরু হওয়া নিয়ে সন্দেহ। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই সত্যি হলো সন্দেহটা-আরও একবার পিছিয়ে দিয়েছে লিগ।

এটা একটা নিয়মই। বহু বছর ধরেই বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে এই নিয়মটা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কোনো সময়সূচি ঘোষণা করলে এখন আর কেউ সেটি পুরোপুরি বিশ্বাস করেন না। কারণ, সে ঘোষিত সময়সূচি যে অবধারিতভাবেই পিছিয়ে যায়।
ব্যাপারটাকে রীতিমতো কৌতুকে পরিণত করেছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। খেলা পেছানোর জন্য কোনো রেকর্ড থাকলে নিশ্চিতভাবেই সেখানে বড়সড় কোনো রেকর্ড করে ফেলত বাফুফে। এ মৌসুমে লিগ এ নিয়ে পিছিয়েছে দুই দফা।

প্রথমে কথা ছিল ১ জানুয়ারি থেকে লিগ শুরু হবে। সিদ্ধান্তটা হয়েছিল সেই ২৬ আগস্ট লিগ কমিটির এক সভায়। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের কারণে সেটি পিছিয়ে যায় ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। সে অনুযায়ী প্রিমিয়ার লিগ শুরু হওয়ার কথা ছিল ৩১ জানুয়ারি। আজ বুধবার লিগ কমিটিই সিদ্ধান্ত নেয় লিগ আরও ১২ দিন পিছিয়ে দেওয়ার। নতুন সিদ্ধান্ত ১৩ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে লিগ। এই তারিখ নিয়েও অনেকের মধ্যে সন্দেহ আছে। কারও কারও শঙ্কা লিগ আবারও পেছাতে পারে।

লিগ পেছানোর কারণটা জানাতে গিয়ে কোনো লুকোছাপা নেই বাফুফের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদীর, ‘ক্লাবগুলো চায় লিগ পেছাতে। তাদের চাওয়া মেনে নিয়েই লিগ পিছিয়েছি।’ ফুটবলবোদ্ধাদের মতে, ক্লাবগুলোর হাতে থাকে ভোট, সে কারণে তাদের চাওয়া অগ্রাহ্য করার কোনো কারণই দেখেন না দেশের ফুটবল প্রশাসকেরা।

লিগের ভেন্যু নিয়েও হয়েছ অনেক নাটক। পুরোনো ভেন্যু চট্টগ্রামকে যুক্ত করা হয়েছে অনেক বিভ্রান্তির পর। এবার নতুন ভেন্যু কুমিল্লা। নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব ও বিজেএমসি অবনমিত হওয়ায় বাদ পড়েছে নোয়াখালী। ঢাকা ছাড়াও অন্য ভ্যেনুগুলো হচ্ছে, ময়মনসিংহ, সিলেট, নীলফামারী ও গোপালগঞ্জ।