ক্লান্ত ফেদেরার আর পারলেন না

ফেদেরারকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে এসেছেন জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স
ফেদেরারকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে এসেছেন জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স

সেমিফাইনালে ওঠার পথেই পাঁচ সেটের দুটি ম্যারাথন ম্যাচ খেলেছেন। তৃতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার অবাছাই জন মিলম্যানের সঙ্গে। আর কোয়ার্টার ফাইনালে আরেক অবাছাই যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস স্যান্ডগ্রেনের বিপক্ষে। নিজের বিস্তর অভিজ্ঞতা আর কিছুটা ভাগ্যের পরশে দুটি ম্যাচেই জিতেছিলেন ফেদেরার। কেউ কেউ ওই দুই ম্যাচে তাঁর জয়কে ‘ফেদেরারীয় চমক’ বললেও অনেকে আবার এর উল্টো দিকটাও দেখেছেন—অবাছাই প্রতিযোগীর সঙ্গেই এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জিততে হলে বাছাই প্রতিযোগীর সঙ্গে কী করবেন!

এমন আশঙ্কাটাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো। দ্বিতীয় বাছাই নোভাক জোকোভিচের বিপক্ষে সেই ‘ফেদেরারীয় চমক’ দেখা গেল না আর। প্রথম সেটটিতে লড়াই করে সেটিকে টাইব্রেকারে নিতে পারলেও পরের দুই সেটে ফেদেরার একদমই অচেনা ২ ঘণ্টা ১৮ মিনিটের লড়াইয়ে আন ফোর্স এরর করেছেন ৩৫টি। ক্লান্ত ফেদেরার শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরেছেন ৭-৬ (৭/১), ৬-৪, ৬-৩ গেমে।

ক্লান্তি ও চোট নিয়ে খেলতে নামায় তবু প্রতিপক্ষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন ফেদেরার। ১৬টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী জোকোভিচ জানিয়েছেন, ম্যাচটা ভিন্ন পথে এগোতে পারত যদি ব্রেক পয়েন্টগুলো কাজে লাগাতে পারতেন। ভালো শুরু করেছিলেন, ‘আমি উল্টো চাপে ছিলাম। আজ খেলতে নেমেছেন এ কারণেই রজারকে শ্রদ্ধা করি। আহত ছিলেন এবং ভালোভাবে নড়তেই পারছিলেন না।’

নিজের প্রিয় গ্র্যান্ড স্লামে অষ্টম শিরোপা জয়ের আশায় ফাইনালে নামবেন জোকোভিচ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবেন থিম ও জভেরেভ।