'ইচ্ছে হয় ওদের একবার আদর করি, চুমু খাই'

>বাস্কেটবল কিংবদন্তি কোবি ব্রায়ান্টের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খুললেন তাঁর স্ত্রী ভেনেসা ব্রায়ান্ট
পরিবারের সঙ্গে কোবি ব্রায়ান্ট। ইনস্টাগ্রামে লেখার সঙ্গে এ ছবিটি পোস্ট করেন ভেনেসা। ছবি: ভেনেসা ব্রায়ান্টের ইনস্টাগ্রাম
পরিবারের সঙ্গে কোবি ব্রায়ান্ট। ইনস্টাগ্রামে লেখার সঙ্গে এ ছবিটি পোস্ট করেন ভেনেসা। ছবি: ভেনেসা ব্রায়ান্টের ইনস্টাগ্রাম

স্বামী ও কন্যাকে দুর্ঘটনায় হারিয়ে শোকাতুর ছিলেন ভেনেসা ব্রায়ান্ট। মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার চার দিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খুললেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে ভেনেসা লিখেছেন, ‘আমরা একেবারে শেষ হয়ে গেছি।’

গত রোববার ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যালাবাসেস অঞ্চলে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন কোবি ব্রায়ান্ট এবং তাঁর ১৩ বছর বয়সী মেয়ে জিয়ানা। হেলিকপ্টারে আরও সাতজনের কেউ বেঁচে ফিরতে পারেননি। ৪১ বছর বয়সী ব্রায়ান্ট ছিলেন বাস্কেটবলে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। লস অ্যাঞ্জেলস লেকার্সের হয়ে পাঁচবার এনবিএ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং দুইবার জিতেছেন অলিম্পিকের সোনার পদক। হৃদয় মোচড়ানো এ মৃত্যুর শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি ক্রীড়াপ্রেমীরা।

জীবনসঙ্গী হওয়ায় ভেনেসা স্বাভাবিকভাবেই বিধ্বস্ত। কিশোরী থাকতে ২০০১ সালে জীবনের গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন দুজন। ১৯ বছর পর সাজানো সংসার এভাবে শেষ হয়ে যাবে সেটি তাঁর কল্পনায়ও ছিল না! বুধবার ইনস্টাগ্রামে তিনি নিজের শোক ভাগ করে নেন ব্রায়ান্ট-সমর্থকদের সঙ্গে, ‘হঠাৎ করেই আমার ভালোবাসার স্বামী—কোবি, যে একজন অসাধারণ বাবা—ও মেয়েকে হারিয়ে পুরো শেষ হয়ে গেছি। এই ভয়ংকর সময়ে যাঁরা সমর্থন ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমি এবং সন্তানেরা। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানাচ্ছি।’

ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ভেনেসার লেখা। ছবি:ভেনেসা ব্রায়ান্টের ইনস্টাগ্রাম
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ভেনেসার লেখা। ছবি:ভেনেসা ব্রায়ান্টের ইনস্টাগ্রাম

ভেনেসা আরও লিখেছেন, ‘এই কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। কোবি ও গিগি (জিয়ানা) জানত আমরা তাদের ভীষণ ভালোবাসি—এটা ভেবেই সান্ত্বনা পাচ্ছি। জানি না এরপর জীবন আমাদের জন্য আর কী কী রেখেছে। তাদের ছাড়া কোনো কিছু ভাবতে পারছি না। ইচ্ছে হয়, একবার ওদের আদর করি, চুমু খাই। ওরা ছিল আমাদের জন্য আশীর্বাদ, কিন্তু খুব দ্রুতই ফিরিয়ে নেওয়া হলো।’

লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্সের স্টেপল সেন্টারে গত কয়েক দিনের মতো আজও জড়ো হয়েছিলেন হাজারো ভক্ত। কারও হাতে ছিল অকালপ্রয়াত বাস্কেটবল কিংবদন্তির ছবি, কারও হাতে ফুল। শুধু স্টেপল সেন্টারেই নয়, ব্রায়ান্টের স্মরণে আমেরিকার অনেক জায়গাতেই ফুলের স্তূপ জমেছে।