নেইমারের জন্মদিনে যে কারণে যাননি এমবাপ্পে

ব্লেইস মাতুইদির সঙ্গে এমবাপ্পে। ছবি: এমবাপ্পের টুইটার পেজ
ব্লেইস মাতুইদির সঙ্গে এমবাপ্পে। ছবি: এমবাপ্পের টুইটার পেজ
>

নেইমারের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। পিএসজি ফরোয়ার্ড সময় দিয়েছেন অন্য একজনকে

জন্মদিনের উৎসব। তাও আবার নেইমারের। কে না যেতে চায়! ভুল হলো। কেউ কেউ আছেন যাঁদের কাছে নেইমারের জন্মদিনের উৎসবে অংশ নেওয়ার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। আর সে ব্যক্তিটি নেইমারেরই ভীষণ পরিচিত। মাঠে নেমে দুজন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে থাকেন। তছনছ করে দেন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ। গোলের পর চলে একসঙ্গে উৎসব। কিলিয়ান এমবাপ্পে!

শুনতে অবাক লাগতে পারে, কারণ পিএসজি তারকার জন্মদিন এখনো আসেনি। ২৮ বছরে পা রাখবেন কাল। মঙ্গলবার ম্যাচ থাকায় জন্মদিনের উৎসবটা আগেই সেরে নিয়েছেন নেইমার। প্যারিসের প্যালেস দে টোকিও ইয়ো ক্লাবে নেইমারের জন্মদিনে এসেছেন অনেকেই। ছিলেন তাঁর পিএসজি সতীর্থরা—মার্কো ভেরাত্তি, এডিনসন কাভানি ও আনহেল ডি মারিয়াদের সঙ্গে লিঁও উইঙ্গার মেম্ফিস ডিপেকেও দেখা গেছে। ‘অল হোয়াইট’ থিম পোশাকের এ পার্টিতে যাননি নেইমারেরই পিএসজি সতীর্থ এমবাপ্পে।

ফরাসি তারকা ফরোয়ার্ড গিয়েছিলেন ডিজনিল্যান্ডে। সেখানে নিজের দাতব্য সংস্থা ‘ট্রেম্পলিনস’-এর জন্য অর্থ সংগ্রহের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন পিএসজির সাবেক মিডফিল্ডার ব্লেইস মাতুইদি। এমবাপ্পে সেখানে সময় দিয়েছেন নিজের জাতীয় দল সতীর্থকে। এমবাপ্পের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন জুভেন্টাসের আর্জেন্টাইন তারকা পাওলা দিবালা ও পিএসজি ফরোয়ার্ড জুলিয়ান ড্রাক্সলার।

নেইমারের জন্মদিনের উৎসব পিএসজির কাছে এমনিতেই দুশ্চিন্তার। জন্মদিন যে কখনোই স্বাভাবিকভাবে পালন করেন না ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ম্যাচের আগে নেইমারের জন্মদিন দলের মনোযোগে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে বলে চিন্তিতও ছিলেন পিএসজি কোচ টমাস টুখেল, ‘এটা খেলোয়াড়দের মনোযোগে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, এটা পরিষ্কার। কিন্তু আমি আমার খেলোয়াড়দের সব সময় আগলে রাখতে পছন্দ করি। কারণ,আমি ওদের খুব ভালোবাসি। যখন কোনো সমালোচনা করার দরকার হয়, সেটা আমি দলের ভেতরের বিষয় হিসেবেই রাখতে চাই। না হলে মনে হতে পারে আমরা পেশাদার নই।’

নেইমারের জন্মদিনে এমবাপ্পের অনুপস্থিতি পিএসজি সমর্থকদের ভ্রু কুঁচকে দিতেই পারে। আগের ম্যাচে টমাস টুখেলের সঙ্গে বেশ এক চোট হয়ে গেছে ফরাসি তারকার। তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাঠ থেকে তুলে নিয়েছিলেন টুখেল। এমবাপ্পে হয়তো পিএসজি-ইস্যু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছেন, কে জানে! আর ভুলে গেলে চলবে না রিয়াল মাদ্রিদ কিন্তু এখনো এমবাপ্পের পিছু ছাড়েনি। সব মিলিয়ে এমবাপ্পে হয়তো পিএসজি থেকে মনটা একটু দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন, নইলে আক্রমণভাগের সতীর্থের জন্মদিনে যাবেন না কেন!