পল্টন ময়দানের মুখে সবুজ হাসি

পল্টন আউটার স্টেডিয়ামের মাঠে সবুজ ঘাস। এমন দৃশ্য শেষ দেখা গিয়েছে অনেক আগে। ছবি: প্রথম আলো
পল্টন আউটার স্টেডিয়ামের মাঠে সবুজ ঘাস। এমন দৃশ্য শেষ দেখা গিয়েছে অনেক আগে। ছবি: প্রথম আলো

পল্টন ময়দানের আউটার স্টেডিয়ামে সংস্কার করা হচ্ছিল না বহুদিন। কিছুক্ষণ খেললেই মাঠের আকাশ ঝাপসা হয়ে যেত ধুলোয়। নির্দিষ্ট কোনো খেলা নয়, ন্যাড়া মাঠটায় কিশোর-কিশোরীরা ক্রিকেট থেকে শুরু করে ফুটবল, রাগবি—সব ধরনের খেলাই খেলেছে এত দিন ধরে। খেলার সময় মাঠের ধুলাবালি কখনো কখনো আশপাশে এতটাই ছড়িয়ে যায়, মনে হয় অন্ধকার নেমেছে। অবশেষে সংস্কারের দেখা পেয়েছে স্টেডিয়ামটি। মাঠ ভরে উঠেছে সবুজ ঘাসে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২ নভেম্বর থেকে মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু করেছিল। কাজ শুরুর তিন মাসের মধ্যেই নতুন রূপে দেখা দিয়েছে পল্টন আউটার স্টেডিয়াম। চারদিক থেকে আটকে দিয়ে নতুন করে লাগানো হয়েছে ঘাস। ঘাস কেটে রোলার দিলেই কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। এরপর পরিষদকে মাঠ বুঝিয়ে দেওয়ার অপেক্ষা শুধু। তাহলেই এখানে অনুষ্ঠিত হবে তৃণমূল ফুটবল পাইওনিয়ার লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ। অন্তত পরিষদের পরিকল্পনা এমনই।

মাঠ সংস্কারের সঙ্গে সম্পৃক্ত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রশাসক মোবারক করিম ,‘অনেক বছর বাদে মাঠটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। নতুন করে ঘাস লাগিয়ে ভালো একটি মাঠ তৈরির চেষ্টা চলছে। কাজ এখন শেষ পর্যায়ে আছে। খুব দ্রুতই মাঠে খেলা শুরু হবে।’ এর আগে ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ান গেমসকে সামনে রেখে সংস্কার করা হয়েছিল এ মাঠ।

কিন্তু কত দিন থাকবে এই সবুজ ভাব? রক্ষণাবেক্ষণের তেমন ব্যবস্থা আপাতত নেই বলে জানালেন স্টেডিয়াম প্রশাসক, ‘শুষ্ক মৌসুমে মাঠ ভালো রাখার প্রধান শর্ত পানি দেওয়া। কিন্তু এই মাঠে পানি দেওয়ার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থা নেই। হ্যান্ডবল ও রোলার স্কেটিং স্টেডিয়ামের পাম্প থেকে পানি দিতে হয়। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী জনবলও কম।’