যুবাদের হাতে শিরোপা দেখছেন মিরাজ

>নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে আশার কথা শোনালেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ

আকবর আলীদের দেখে মেহেদী হাসান মিরাজের নিশ্চয়ই খুব করে মনে পড়ছে চার বছর আগের কথা। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বেই যে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশের যুবারা। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হেরে ফাইনালে আর যাওয়া হয়নি। তবে সেবার মিরাজের নিজের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়ে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়।

চার বছর আগের আক্ষেপ ভুলে যাওয়ার সুযোগ এবার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে। মিরাজ আশাবাদী, তাঁর উত্তরসূরিরা ২০১৬ সালের আক্ষেপ দূর করবেন, ‘দলের খেলোয়াড়দের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগটা অনেক ভালো। তিন বিভাগেই তারা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছে। সেমিফাইনালে তিন বিভাগে ভালো করলেই দল ফাইনালে খেলবে।’ পচেফস্ট্রুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামীকালের সেমিফাইনালে সে পরীক্ষাই দেবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে খেলা।

বিসিবির জুনিয়র নির্বাচক হাসিবুল হোসেন এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যুবাদের শিরোপা জেতাটাও অসম্ভব মনে করেন না। মিরাজও হাসিবুলের মতোই আশাবাদী, ‘ফাইনালে খেললে আমরা অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হব। সেমিফাইনাল ম্যাচে অনেক চাপ থাকবে। সে চাপ যারা ভালোভাবে সামলাতে পারবে তারাই জিতবে।’

২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হার এখনো অনেককে তাড়িয়ে বেড়ায়। সেদিন বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে ৬০ রানের ইনিংসে মিরাজ ঠিকই ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন। তবু হার এড়ানো যায়নি। যুবারা শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্ট ছিল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সান্ত্বনার জয় নিয়ে। তবে মিরাজের বিশ্বাস—আকবর-তৌহিদ হৃদয়রা এবার নতুন ইতিহাস গড়বেন, ‘ওদের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল যা আগে করতে পারেনি, সেটিই করে দেখানো। ফাইনালে খেলতে পারেনি, চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। আশা করি এবার ওরা ভালো খেলবে।’

পূর্বসূরির আশাবাদের প্রতিফলন যুবারা মাঠে কতটা করে দেখাতে পারেন, এখন দেখার বিষয় সেটিই।