নেইমারের চেয়ে বেশি বেতন পান সিমিওনে

বিশ্বের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া ফুটবলার এ তিনজনই। ফাইল ছবি
বিশ্বের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া ফুটবলার এ তিনজনই। ফাইল ছবি
>মেসি, রোনালদোর চেয়ে কম বেতন পান নেইমার। বেতনে তাঁকে ছাড়িয়ে গেছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কোচ ডিয়েগো সিমিওনেও!

বার্সেলোনার মতো ক্লাব ছেড়ে নেইমারের পিএসজিতে যাওয়ার পেছনে দুটি বিষয় কাজ করেছিল। প্রথম একটি ক্লাবের নিউক্লিয়াস হতে চেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। আর দ্বিতীয়ত বেতন–ভাতা দ্বিগুণেরও বেশি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিল পিএসজি। বেতনে একসময় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও ছাপিয়ে গিয়েছিলেন নেইমার।

রোনালদো সেটা সহজভাবে নেননি। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে দর-কষাকষি করে বেতন বাড়াতে চেয়েছিলেন। তাতে ব্যর্থ হয়ে জুভেন্টাসে এসেছেন, নেইমারকেও বেতন–ভাতায় আবার টপকে গেছেন। সেটাও হয়তো মেনে নিতে পারেন নেইমার। কিন্তু লেকিপের নতুন প্রতিবেদনে মন খারাপ হতে পারে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের। বেতনে যে তাঁকে ছাড়িয়ে গেছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কোচ ডিয়েগো সিমিওনে!

ফ্রেঞ্চ পত্রিকা লেকিপ বিশ্ব ফুটবলে সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া ফুটবলার ও কোচদের একটি তালিকা দিয়েছে। সে তালিকা অনুযায়ী ক্লাব বদলেও মেসির ধারেকাছে যেতে পারেননি রোনালদো। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি যেখানে মাসে ৮.৩ মিলিয়ন ইউরো বেতন পান, রোনালদো পাচ্ছেন ৪.৫ মিলিয়ন ইউরো। আর পিএসজির মধ্যমণি নেইমার পাচ্ছেন ৩ মিলিয়ন ইউরোর কিছু বেশি। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সর্বোচ্চ বেতনভোগী ফুটবলারের চেয়ে দ্বিগুণ বেতন পাচ্ছেন সিমিওনে, অঙ্কটা নেইমারের বেতনের চেয়েও বেশি—৩.৬ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ বছরে ৪৩.৬ মিলিয়ন ইউরো বেতন পাচ্ছেন লা লিগার ছয়ে থাকা ক্লাবের কোচ!

নেইমার তবু স্বস্তি পাবেন নিজের ক্লাবের দিকে তাকালে। ক্লাবে তাঁর রাজত্ব কেড়ে নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পে প্রতি মাসে পিএসজি থকে ১.৯ মিলিয়ন ইউরো বেতন পাচ্ছেন। বেতনের দিক থেকে এমবাপ্পে ও নেইমারের মাঝে আছেন আরও চারজন। বার্সেলোনার আঁতোয়ান গ্রিজমান ও লুইস সুয়ারেজ ৩ মিলিয়ন ইউরোর একটু কম নিচ্ছেন ক্লাব থেকে। ওদিকে রিয়াল মাদ্রিদের দুই উইঙ্গার এডেন হ্যাজার্ড ও গ্যারেথ বেল পাচ্ছেন মাসে ২.৫ মিলিয়ন ইউরো করে।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছেন ডেভিড ডে হেয়া। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গোলরক্ষক মাসে ১.৭৬ মিলিয়ন ইউরো পাচ্ছেন। ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ফুটবলার পল পগবার বেতন এ মৌসুমে এক পয়সাও বাড়েনি । ফলে ১.৪ মিলিয়নেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাঁকে। প্রিমিয়ার লিগে ডে হেয়ার পরই আছেন আর্সেনালের মেসুত ওজিল ও ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডি ব্রুইনা (১.৬৪ মিলিয়ন ইউরো)।

জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছেন বায়ার্ন মিউনিখের দুজন। রবার্ট লেভানডফস্কি ও ফিলিপ কুতিনহো, মাসে ১.৬৬ মিলিয়ন ইউরো করে। রোনালদোর দুই সতীর্থই ইতালিতে দুই ও তিনে আছেন। দুই আর্জেন্টাইন গঞ্জালো হিগুয়েইন ও পাওলো দিবালা যথাক্রমে ১.০৯ ও ১.০৬ মিলিয়ন ইউরো করে পান মাসে।

কোচদের বেতনের দিক থেকে সিমিওনের ধারেকাছেও নেই কেউ। সিমিওনের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছেন দুইয়ে থাকা পেপ গার্দিওলা (১.৯৪ মিলিয়ন ইউরো)। এরপরই আছেন লিভারপুলের ইয়ুর্গেন ক্লপ ও টটেনহামের হোসে মরিনহো। এ দুজন মাসে ১.৪৬ মিলিয়ন করে ইউরো পান। এদের পরই আছেন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জিনেদিন জিদান। তিনবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ীকে ক্লাবে ফেরানোর পর মাসে ১.৪ মিলিয়ন ইউরো দিচ্ছেন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।