করোনোভাইরাস-আতঙ্ক নিয়ে মালদ্বীপ যাচ্ছেন ফুটবলাররা

আজ মালদ্বীপ যাচ্ছে আবাহনী লিমিটেড। ছবি: ফাইল ছবি
আজ মালদ্বীপ যাচ্ছে আবাহনী লিমিটেড। ছবি: ফাইল ছবি
>

এএফসি কাপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডে ফিরতি পর্বের ম্যাচ খেলতে আজ বিকেলে মালদ্বীপ রওনা হবে আবাহনী লিমিটেড। ১২ জানুয়ারি এ ম্যাচে একে তো কঠিন সমীকরণ, সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাস–আতঙ্ক

এএফসি কাপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের প্রথম পর্বের ম্যাচে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে কিছুটা পিছিয়ে আছে আবাহনী লিমিটেড। এএফসি কাপে মূল পর্বের আশা বাঁচিয়ে রাখতে ফিরতি পর্বে মাজিয়া স্পোর্টসের বিপক্ষে ন্যূনতম ৩-৩ গোলে ড্র বা জিততে হবে আবাহনীকে। ম্যাচটি খেলতে আজ মালদ্বীপের রাজধানী মালের উদ্দেশে রওনা হবে বাংলাদেশ দল। ১২ জানুয়ারি এ ম্যাচে এমনিতেই কঠিন সমীকরণ, সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাস–আতঙ্ক।

মালদ্বীপ সফর সামনে রেখে গতকাল ১০টি মাস্ক কিনেছেন ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, ‘শুনেছি মালদ্বীপে করোনাভাইরাস–আতঙ্ক বেশি। তাই আজ মাস্ক কিনে নিলাম বেশি করে। ১০টি কিনেছি। পাইলে আরও কিনতাম।’ শুধু নাসিরউদ্দিন নয়, সব খেলোয়াড়ই ছুটছেন মাস্কের দোকানে।

করোনা–আতঙ্কের সঙ্গে আবাহনীর যোগ হয়েছে ডিফেন্ডার টুটুল হোসেনের (বাদশা) মালদ্বীপ যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা। অসুস্থতায় আগের ম্যাচে ছিলেন না টুটুল। আশা করা হয়েছিল ফিরতি পর্বের ম্যাচে পাওয়া যাবে এ সেন্টারব্যাককে। কিন্তু পেটের পীড়ায় ভুগে হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হয়েছে তাঁকে। তাই অনুশীলনে ছিলেন না। রক্ষণভাগ নিয়ে কোচ মারিও লেমোসের কপালে চিন্তার ভাঁজ, ‘টুটুল সম্ভবত এই ম্যাচও খেলতে পারবে না। সে খেললে আমাদের পরিকল্পনা এক রকম হতো, না খেললে অন্য রকম। তবে খেললে অবশ্যই ভালো হতো আমাদের জন্য।’

ফিরতি ম্যাচে আবাহনী চাইছিল টুটুলকে রক্ষণে যোগ করে শক্তি বাড়াতে। সে ক্ষেত্রে নাসির উদ্দিনকে ওপরে খেলানোর পরিকল্পনা ছিল কোচের। কিন্তু টুটুলের অসুস্থতা নতুন করে ভাবনায় ফেলেছে তাঁকে।