বিশ্বজয়ের অনুভূতি তাহলে এমন?

বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া এই তরুণদের কেমন লাগছে এখন? ছবি: আইসিসি
বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া এই তরুণদের কেমন লাগছে এখন? ছবি: আইসিসি

প্রথম বিশ্বকাপ জয়! অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করাও কঠিন। তবু আনন্দস্রোতে ভাসতে ভাসতেই প্রথম আলোর কাছে বাংলাদেশকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ১৫ ক্রিকেটার—

আকবর আলী: অনুভূতি তো বলে বোঝাতে পারব না! তবে আমাদের দেশের মানুষ একটা শিরোপার দাবি রাখে। তাদের শিরোপা এনে দিতে পেরে ভালো লাগছে।

তানজিদ হাসান: বলার মতো ভাষা নেই আমার। আমি এখনো বাকরুদ্ধ। আমাদের স্বপ্ন সত্যি হলো। বিশ্বকাপ জয় একটা স্বপ্ন ছিল। এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না, তবে স্বপ্ন সত্যিই বাস্তবে পরিণত হয়েছে।

পারভেজ হোসেন: শিরোপা জয়ের অনুভূতি অসাধারণ। ব্যাটিংয়ে দুবার নেমেছি, দুবারই পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। কিন্তু আমার একবারও নেতিবাচক কিছু মাথায় আসেনি। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।

মাহমুদুল হাসান: জয়ের মুহূর্তটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। মাথায় যে কী কাজ করছিল কে জানে! আমরা অনেক কষ্ট করেছি ওই মুহূর্তটার জন্য। এত কিছুর পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, বিশেষ অনুভূতি তো হবেই।

শরীফুল ইসলাম: আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ! এর বাইরে কিছু বলার নেই। পুরো বিষয়টাই আমার কাছে অবিশ্বাস্য লাগছে।

রকিবুল হাসান: অসাধারণ! আমাদের অনেক কিছু প্রমাণ করার ছিল। আমরা এখন বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। আমাদের যা প্রমাণ করার ছিল তা করে দেখিয়েছি।

তানজীম হাসান: ম্যাচের আগের রাত থেকে সব শুরু। আমরা পরিকল্পনা করেছি ম্যাচ জেতার। এরপর সব যখন সফল হলো, এখন সব অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।

তৌহিদ হৃদয়: কেমন লাগছে, বলে বোঝানো কঠিন। এত দিনের কষ্ট সব ফাইনালে এসে কাজে লাগল। আমরা এখন বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। এখন আমাদের দিকে সবাই তাকিয়ে!

শামীম হোসেন: বিশ্বকাপ জয়, বোঝেনই তো, এত খুশি যে বলে বোঝাতে পারব না। কার না ভালো লাগবে বিশ্বকাপ জয়ের পর! অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশের মতো নয়।

হাসান মুরাদ: এটা শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেটের নয়, বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসেরই সেরা অর্জন। এর অংশ হতে পেরে আমি খুবই গর্বিত।

অভিষেক দাস: আমরা এখন বিশ্বের সেরা দল। এই দলের অংশ আমি। বিশ্বাস হচ্ছে না। তবে ম্যাচটা যে জিতব, এই বিশ্বাস শুরু থেকেই ছিল।

শাহীন আলম: শেষ এশিয়া কাপে আমি ক্রিজে থেকেও দলকে জেতাতে পারিনি। আর এবার একাদশে না থাকলেও চ্যাম্পিয়ন হয়ে উল্লাস থামাতে পারিনি। আমি বিশ্বকাপজয়ী ১৫ জনের একজন! যা সাকিব-তামিম ভাইয়েরা অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে পারেননি, আমরা সেটা করেছি।

প্রান্তিক নওরোজ: আজীবন এই অনুভূতি মনে থাকবে। একবারের জন্যও মনে হয়নি আমরা হেরে যাব। সব সময় শিরোপা জয়ের আত্মবিশ্বাস কাজ করছিল। সেটাই শেষ পর্যন্ত হয়েছে।

মেহরাব হাসান: এটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তবে আমি দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর প্রত্যেকের চেষ্টা দেখে আঁচ করতে পেরেছিলাম, এই বিশ্বকাপে আমরা বিশেষ কিছু করতে পারব। আমি ভাগ্যবান, দল শিরোপা জিতেছে।

শাহাদাত হোসেন: খুবই রোমাঞ্চকর। প্রথম বিশ্বকাপ দলের সদস্য আমি। দেশের জন্য শিরোপা জেতায় গর্ববোধ করছি। একবারও মনে হয়নি, আমরা পারব না। তবে যখন আমি আউট হয়েছিলাম, তখন একবার মনে হয়েছিল, পারব না।