বাংলাদেশ-ভারতের খেলোয়াড়দের বয়স বেশি ছিল, বললেন বেদি

বিষেণ সিং বেদি ছবি : এএফপি
বিষেণ সিং বেদি ছবি : এএফপি
>এবার অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে বাংলাদেশ। চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এই সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে সেমিফাইনালে খেলা খেলোয়াড়দের বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক ভারতীয় স্পিনার বিষেণ সিং বেদি

ঠোঁটকাটা হিসেবে বিষেণ সিং বেদির পরিচিতি আজকের নয়। মুখে যা আসে, রাখঢাক না করে সেটিই বলে দেওয়ার জন্য সব সময় বিখ্যাত তিনি। এবার বিষেণ সিং বেদির কথার তিরে বিদ্ধ হলেন বাংলাদেশ ও ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। তাঁর মতে, যুব বিশ্বকাপের সেমিতে খেলা এশিয়ার দেশগুলোর খেলোয়াড়দের প্রত্যেকের বয়স উনিশের বেশি।

এবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত। এই দেশের খেলোয়াড়দের দিকেই সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়েছেন ভারতের সাবেক এ অধিনায়ক, ‘ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ—এশিয়ার যেসব দেশ সেমিতে উঠেছে, তাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের বয়স উনিশের বেশি। আপনি এক মাইল দূরে দাঁড়িয়ে থেকেও এটা বুঝতে পারবেন। কয়েক বছর আগে রাহুল দ্রাবিড় বয়স বাড়িয়ে খেলানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। আমাদের হয়েছেটা কী? আমি অনেক হতাশ।’

এ ছাড়া ম্যাচের পর দুই দলের খেলোয়াড়দের ধাক্কাধাক্কি দেখেও বিরক্ত হয়েছেন বেদি। রকিবুল হাসান জয়সূচক শেষ রানটি নেওয়ার পর উল্লাসে মাতেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। এ সময়ে মাঠে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি, এমনকি সামান্য ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে। এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন অধিনায়ক আকবর আলী। কিন্তু অধিনায়কের ক্ষমা প্রার্থনাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। পুরো ঘটনা নিয়ে কাল তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রয়।

সে অনুযায়ী শাস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও জয়ের রান এনে দেওয়া রকিবুল হাসান। ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়কেও আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ ধারা ভাঙায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিষ্ণয়ের ক্ষেত্রে ধারা ২.৫ ভাঙার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে। তৃতীয় মাত্রার শাস্তি হওয়ায় সবাইকে কড়া শাস্তিই দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাটি পছন্দ হয়নি বেদির, ‘দেখুন, বাংলাদেশ যা করেছে, সেটা তাদের সমস্যা। আমাদের ছেলেরা যা করেছে, সেটা আমাদের সমস্যা। কোনোভাবেই এমন ব্যবহারের কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। তাদের ব্যবহার ছিল অত্যন্ত জঘন্য ও নিন্দনীয়।’