সুপার ওভারের জায়গায় 'রক পেপার সিজারস'?

এই ছবিটাই পোস্ট করেছিলেন জিমি নিশাম। ছবি : জিমি নিশামের টুইটার অ্যাকাউন্ট
এই ছবিটাই পোস্ট করেছিলেন জিমি নিশাম। ছবি : জিমি নিশামের টুইটার অ্যাকাউন্ট
ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ টাই হলে সুপার ওভারের নিয়ম বলবৎ আছে এখন। কিন্তু আগের এই নিয়মকে যদি একটু বদলানো হয়? সুপার ওভার না খেলে যদি ‘রক, পেপার, সিজার’ খেলে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করা যায়? এমনই বিচিত্র এক 'প্রস্তাব' দিয়েছে খোদ আইসিসি


নিউজিল্যান্ডের ‘সুপার ওভার’ ভাগ্য যে খুব সুপ্রসন্ন, সেটা তাদের পাঁড় ভক্তও বলবেন না।

শুধু টি-টোয়েন্টির কথাই চিন্তা করে দেখুন, নিউজিল্যান্ডের খেলা সাতটি টি-টোয়েন্টি এর মধ্যে সুপার ওভারের মুখ দেখেছে। এই সাত ম্যাচের মধ্যে নিউজিল্যান্ড জিতেছে মাত্র একবার। হেরেছে বাকি ছয়টিতেই। ওয়ানডেতেও রেকর্ড তেমন সুবিধার না। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের কথাই ভাবুন, সুপার ওভারের যন্ত্রণায় সেবারও সেই নিউজিল্যান্ডই পড়েছিল। সুপার ওভারের প্রতি এ জন্য নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়দের বিতৃষ্ণা থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম সেটা খোলাখুলিই বলেছেন বেশ কয়েকবার। এবার আইসিসি নিশামদের জন্য তাই নিয়ে এল এক অভিনব ‘প্রস্তাব’।

কী সেই ‘প্রস্তাব’?

সেদিন নিজের আর ভারতীয় ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুলের একটা ছবি পোস্ট করে নিশাম ক্যাপশনে লেখেন, ‘পেপার, সিজারস, রক?’ দুজন সে সময়ে যেভাবে মুষ্টিবদ্ধ করেছিলেন, দেখে ভাবাটা অস্বাভাবিক নয় যে দুজন ক্রিকেট খেলা বাদ দিয়ে ‘রক, পেপার, সিজারস’-ই খেলছেন। সে ছবিটা আবার রিটুইট করেছে আইসিসির অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট। রিটুইট করে লিখেছে, ‘সুপার ওভার না খেলে পরিবর্তে এটাই খেলা উচিত আমাদের!’ নিশাম যদিও পরে আইসিসিকে কিছু লেখেননি এ ব্যাপারে, যে প্রস্তাবিত ‘নিয়ম’টা তাঁর পছন্দ হয়েছে কি না!

ওদিকে লোকেশ রাহুলও নিশামকে জবাব দিতে ভোলেননি। সামনের এপ্রিলে হতে যাওয়া আইপিএলে দুজনই খেলছেন, সেদিকে ইঙ্গিত করে তিনি লিখেছেন, ‘এপ্রিলে তো দেখা হচ্ছেই, তখনই দেখা যাবে কে জিতবে!’ লোকেশ রাহুল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ব্যাটিং এর অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। ওদিকে জিমি নিশামও এবার সেই দলের হয়েই খেলবেন, রাহুলের সতীর্থ হিসেবে।