পুলিশকে হারিয়ে দারুণ শুরু আবাহনীর

গোলের পর সানডের উল্লাস। আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ছবি: প্রথম আলো
গোলের পর সানডের উল্লাস। আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ছবি: প্রথম আলো
>পুলিশ ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে শুভ সূচনা করেছে আবাহনী লিমিটেড।

এএফসি কাপের প্রাথমিক রাউন্ড থেকে আবাহনী লিমিটেডের বিদায়ের পর তাদের পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোসের দাবি ছিল, ‘সানডে চিজোবা বড় ম্যাচের জন্য উপযুক্ত নয়।’

তা এএফসি কাপের ম্যাচটা বড় ম্যাচ হতে পারে, কিন্তু প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচটাও তো আজ আবাহনীর জন্য ছোট ম্যাচ কোনোভাবেই ছিল না। সেটিতে ঠিকই জ্বলে উঠেছেন সানডে। আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে ঘরোয়া ফুটবলে ফিরতেই গোল নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকারের পায়ে। নতুন মৌসুমের লিগে আবাহনীর প্রথম গোলই সেটি। বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের বিপক্ষে আবাহনীর ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচে অন্য গোলটি কিরগিজস্তান মিডফিল্ডার এডগার বানহার্ডের। দুই অর্ধে হয়েছে গোল দুটি।

আবাহনী লিগের বর্তমান রানার্সআপ দল। আর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে অনেক বছর বাদে প্রিমিয়ার লিগে এসেছে পুলিশ। ফেডারেশন কাপে এই পুলিশকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েই শুরু হয়েছিল আবাহনীর। তবে আজ গোল ব্যবধান ২-০ হলেও দুই দলের পার্থক্য খুব একটা বোঝা যায়নি। প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অন্তত পুলিশ প্রমাণ করতে পেরেছে, বড় মঞ্চেও তারা একেবারে হেলায় উড়িয়ে দেওয়ার মতো দল নয়।

এএফসি কাপে মাজিয়ার বিপক্ষে খেলে আবাহনী দেশে ফিরেছে দুদিন আগে। শরীরী ভাষায় আজ কিছুটা ক্লান্ত মনে হয়েছে তাঁদের। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগেই কেভিন বেলফোর্ট ও সানডের রসায়নে গোল পায় তারা। বেলফোর্ট মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে একা অনেকটা এগিয়ে এসে রক্ষণ চেরা এক থ্রু দিয়েছিলেন। বক্সের মধ্যে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ প্লেসিংয়ে লিগে গোলের খাতা খুলেছেন গত লিগে ২০ গোল করা সানডে।

সমতায় ফেরার মতো খেলতে পারেনি পুলিশ। তবে আবাহনীর খেলায়ও ছিল না ছয় বারের চ্যাম্পিয়নের ধার। সাদ উদ্দিনের শট একবার ফিরেছে গোললাইন থেকে, আরেকবার বেলফোর্টের হেড ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ৮৩ মিনিটে আবাহনীর দ্বিতীয় গোল। সাদের কাট ব্যাক বক্সের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নাবিব নেওয়াজ সাজিয়ে দিয়েছিলেন বানহার্ডকে। সেখান থেকে বানহার্ডের জোরালো শটে গোল। আবাহনীর জার্সিতে এটাই বানহার্ডের প্রথম গোল।