জেমি ডে বললেন, এটাই হওয়ার ছিল...

দেশি স্ট্রাইকাররা গোল পাচ্ছেন না, এতে অবাক হননি জাতীয় ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। ফাইল ছবি
দেশি স্ট্রাইকাররা গোল পাচ্ছেন না, এতে অবাক হননি জাতীয় ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। ফাইল ছবি
>

লিগে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়েরই নামের পাশে গোল নেই। এতে অবাক হননি জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ শেষে এ ইংলিশ কোচ এখন তাঁর দেশে ছুটি কাটাচ্ছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর ও পরিবারের অসুস্থতায় সেটি পিছিয়েছে। ইংল্যান্ড থেকেই প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

প্রথম আলো: শারীরিক অবস্থা কেমন?
জেমি ডে: কিছুটা ভালোর দিকে। আসলে কেবল আমিই নই, আমার পুরো পরিবারই জ্বরে আক্রান্ত দুই সপ্তাহ ধরে। ভাইরাস জ্বর আরকি! তবে ধীরে ধীরে সবাই সুস্থ হয়ে উঠছি। আপাতত পরিবারে স্বস্তি এসেছে।

প্রথম আলো: তাহলে আপনাকে ঢাকা দেখতে পাচ্ছি কবে?
জেমি: খুব তাড়াতাড়ি দেখতে পাচ্ছেন। আশা করছি, ২০ তারিখেই দেখা হচ্ছে আপনাদের সঙ্গে। ১৯ তারিখ রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

প্রথম আলো: জানেন বোধ হয়, প্রিমিয়ার লিগের ৬ ম্যাচে গোল হয়েছে ৯টি। কিন্তু গোলদাতাদের তালিকায় একজনও বাংলাদেশি ফুটবলারের নাম নেই...
জেমি: জানি! কিছু খেলা আমি দেখেছিও। তবে এই যে বললেন এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি ফুটবলার গোল করতে পারেনি, এতে আমি কিন্তু মোটেও অবাক হইনি। কোন দলের ফরোয়ার্ড লাইনে বাংলাদেশি স্ট্রাইকার খেলছে, আমাকে দেখান তো!

প্রথম আলো: অবাক হননি...?
জেমি: আমি তো আগেই বলেছি বিদেশি ফুটবলার কমাতে হবে। স্থানীয় লোকজন যদি দায়িত্বই না পায়, সুযোগই না পায়, তাহলে গোল আসবে কোথা থেকে। তাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো ফুটবলাররে গোল না পাওয়ায় আমি মোটেও অবাক হইনি। এটাই হওয়ার কথা।

প্রথম আলো: খেলা যখন দেখছেন, তাহলে তো খেয়াল করেছেন, বেশিরভাগ দলই পাঁচ বিদেশি খেলানোর সুযোগটা নিচ্ছে?
জেমি: হ্যাঁ, প্রায় সব দলই তো তা–ই করছে। ক্লাব তাদের পুরো সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করবে, এটাই স্বাভাবিক।

প্রথম আলো: বিশ্বকাপ ও এশিয়ানকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের আরও চারটি ম্যাচ আছে। এর মধ্যে ঘরের মাঠে আফগানিস্তান, ওমান ও ভারতের বিপক্ষে খেলতে হবে দলকে। আর দোহাতে কাতারের বিপক্ষে। বাকি চার ম্যাচ থেকে আপনার প্রত্যাশা কী?
জেমি: চারটি দলই আমাদের চেয়ে বেশ এগিয়ে। তবে নিজেদের মাঠে যেকোনো একটি দলের বিপক্ষে জিততে চাই। বাকি ম্যাচগুলো থেকে ১ পয়েন্ট পেলে বড় অর্জন বলতে হবে।

প্রথম আলো: ২৬ মার্চ সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি। সিলেট মানেই প্রচুর দর্শকের সামনে খেলার সুযোগ। বিষয়টি অনুপ্রাণিত করছে কিনা?
জেমি: সেখানকার ফুটবল নিয়ে অন্য রকম উন্মাদনা দেখেছি। মাঠ ভালো। গ্যালারিতে দর্শক থাকে প্রচুর। আশা করি, দর্শকদের ভালো একটি ম্যাচ উপহার দিতে পারব।