বার্সার কুৎসা রটানো নিয়ে মুখ খুললেন মেসি

লিওনেল মেসি।
লিওনেল মেসি।
>বার্সেলোনা সভাপতির বিপক্ষে ওঠা বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন লিওনেল মেসি

বার্সেলোনা সভাপতিকে ঘিরে অভিযোগটা গুরুতর। তিনি নাকি নিজের স্বার্থে খেলোয়াড়দের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। এ জন্য জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানও ভাড়া করেছিল তারা। সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমেউর সঙ্গে যেসব বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়ের বনে না, তাঁদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাত এই প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে বার্তেমেউর ভাবমূর্তি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঠিকঠাক রাখার কাজটাও করত। দুদিন আগেই এমন বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম। তবে ব্যাপারটা বার্সেলোনার পক্ষ থেকে পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়। এবার এটি নিয়ে মুখ খুলেছেন লিওনেল মেসি।

কাতালান ক্লাবটির আর্জেন্টাইন এ তারকা জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ ওঠার পর খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছেন বার্সা সভাপতি। এ নিয়ে মেসি বলেন, ‘এটা জেনে বিস্মিত হয়েছি। সভাপতি সবার সামনে বলা কথাগুলোই আমাদের বলেছেন। কেমন অবস্থা ছিল, এখন চলছে এসব আরকি। সংবাদ সম্মেলন থেকে অধিনায়ককেও একই কথা বলেছেন তিনি। এমন কিছু ঘটা সত্যি অদ্ভুত। তবে এর প্রমাণ আছে, এমন কথাও বলা হয়েছে। এখন সত্য-মিথ্যা জানার অপেক্ষা করতে হবে। এ নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’

ক্যাম্প ন্যুতে প্রায় ২০ বছর কাটিয়ে দেওয়া মেসি তাঁর ক্লাব নিয়ে সন্তুষ্ট। জানালেন বার্সেলোনা তাঁর ভালোবাসার জায়গা, ‘বার্সেলোনাকে ভালোবাসি। তবে রোজারিওকেও (আর্জেন্টিনায় জন্মস্থান) মনে পড়ে। কিন্তু এটা আমার ঘর। আর্জেন্টিনায় তুলনায় এখানে (ক্যাম্প ন্যু) বেশি সময় কাটিয়েছি।’

কাতালান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লিওনেল মেসি, জেরার্ড পিকে থেকে কার্লোস পুয়োল, জাভি হার্নান্দেজ, পেপ গার্দিওলারা এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কুৎসা রটনার শিকার হয়েছেন।

বার্তোমেউ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘বার্সা কখনোই কোনো খেলোয়াড়, সাবেক খেলোয়াড়, রাজনীতিবিদ, ম্যানেজার, সভাপতি কিংবা সাবেক সভাপতির বদনাম করতে কোনো প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া করেনি। এই অভিযোগ ডাহা মিথ্যা।’