আত্মবিশ্বাসী নারী ক্রিকেটাররা দেখছেন দুর্বলতাও

বিশ্বকাপে এমন রূপে আবির্ভুত হওয়ার আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়। ছবি: আইসিসি
বিশ্বকাপে এমন রূপে আবির্ভুত হওয়ার আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়। ছবি: আইসিসি
>প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানো গেছে। অস্ট্রেলিয়ায় মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই জয় আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে নারী ক্রিকেটারদের। তবে অধিনায়ক সালমা খাতুন এই জয়ের ম্যাচকে দেখছেন নিজেদের নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ হিসেবে। এই জয়েও দলে কিছু দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নটা সালমা খাতুনদের কাছে অলীক হতে পারে। কিন্তু মেয়েদের ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে নিজেদের দারুণভাবে চেনানোটা তাঁদের কাছে অলীক কোনো লক্ষ্য নয়। ভারতকে দুবার হারিয়ে গত বছর এশিয়া কাপ জয় করেই তাঁরা জানান দিয়েছিলেন উঠে আসার ব্যাপারটা। এবার অস্ট্রেলিয়ায় মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিকেট–দুনিয়াকে সালমা-জাহানারা-রুমানারা দেখিয়ে দিতে চান শক্তিধরদের এলোমেলো করে দিতে জানেন তাঁরাও।

দেশ ছাড়ার আগে খুব বড় স্বপ্ন দেখাননি অধিনায়ক সালমা খাতুন। যে গ্রুপে বাংলাদেশ পড়েছে, তাতে বড় স্বপ্নের সুযোগ কোথায় অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড আর শ্রীলঙ্কা—এই দলগুলোর বিপক্ষে কত দূরই–বা যাওয়া যাবে! শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে খেলার পাশাপাশি জয়ের রেকর্ড আছে, কিন্তু অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড যে পুরোপুরি অচেনা প্রতিপক্ষ। এর আগে আর কখনোই ট্রান্স-তাসমান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। তাই একটু লড়াই, অন্তত শ্রীলঙ্কা আর ভারতের বিপক্ষে জেতার চেষ্টা করা, লক্ষ্যটা এমনই বলেছিলেন অধিনায়ক। তবে আজ বিশ্বকাপ শুরুর আগে পাকিস্তানকে হারিয়ে নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস অনেকটাই ওপরে দেখছেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠেই ম্যাচ শেষে সালমা বলেছেন বিশ্বকাপে ভালো করতে চান, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে এই জয় আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। এখন আমরা বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো করতে চাই।’

পাকিস্তানের বিপক্ষ প্রস্তুতি ম্যাচে ৫ রানের জয় আত্মবিশ্বাসী করছে অবশ্যই। কিন্তু সালমা এর মধ্যেও দেখছেন অনেক দুর্বলতা। বিশ্বকাপের আগেই এ দুর্বলতাগুলো নিয়ে বেশি করে কাজ করতে চান সালমা, ‘আমরা আমাদের ব্যাটিং পারফরম্যান্সে খুশি হলেও বেশ কিছু দুর্বলতা চোখে পড়ছে। শেষ ৫ ওভারে ব্যাটিং ভালো হয়নি। রান তোলার হার খুবই কম ছিল। বোলাররাও পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের শেষ দিকে ইয়র্কারের ব্যবহার ঠিকমতো করতে পারেনি। এই জায়গাগুলোতে আমাদের কাজ করতে হবে। এ ম্যাচটি ছিল বিশ্বকাপের আগে নিজেদের নিয়ে নতুন করে ভাবার একটা বড় সুযোগ।’

সুযোগ কাজে লাগিয়েই নিজেদের নিয়ে যেতে হয় অন্য উচ্চতায়। আত্মবিশ্বাসী হওয়া গেছে এখন অপেক্ষা সুযোগের সদ্ব্যবহারের। এশিয়া কাপের উদাহরণ আর অভিজ্ঞতা তো আছেই নারী ক্রিকেটারদের।