সালাউদ্দিনকে খালি মাঠে গোল দিতে দেবেন না বাদল রায়

এবার নির্বাচনের মাঠে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন দেশের ইতিহাসের সেরা দুই তারকা ফুটবলার। ফাইল ছবি
এবার নির্বাচনের মাঠে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন দেশের ইতিহাসের সেরা দুই তারকা ফুটবলার। ফাইল ছবি
>বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে চান বাদল রায়

‘ফাঁকা মাঠ দেওয়া হবে না কাজী সালাউদ্দিনকে। অন্য কেউ প্রার্থী না হলেও আমি প্রার্থী হবই।’ আজ মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন তিনি। বাদল রায় বলেন,’ সালাউদ্দিনের আমলে ফুটবলের কোনো উন্নয়ন হয়নি। ফুটবল মরে গেছে। এখন শুধু দাফন বাকি। এই অবস্থায় কাজী সাহেবকে ওয়াকওভার দিয়ে চলে যাব এমন হয় না।’

আগামী এপ্রিলের শেষ দিকে বাফুফের নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক রুহুল আমিন তরফদার দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গত রোববার সভাপতি পদে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক পরিষদের মহাসচিব তরফদার রুহুল আমিন। তাঁর এই ঘোষণায় ধাক্কা খেয়েছেন সালাউদ্দিনের বিরোধী পক্ষ। এখন অন্য একজন সভাপতি প্রার্থী খোঁজা হচ্ছে। উপযুক্ত কাউকে না পেলে বাদল রায় নিজেই প্রার্থী হবেন এই পদে।

এ প্রসঙ্গে বাদল রায় আজ প্রথম আলোক বলেন, ‘ভালো একজন সভাপতি প্রার্থী পেলে আমি এই পদে প্রার্থী হব না। তবে কাউকেই না পেলে আমি লড়াই করব। কোনোভাবেই আর কাজী সালাউদ্দিনের হাতে দেশের ফুটবল নিরাপদ মনে করি না।’ যোগ করেন, এই ১২ বছর কাজী সালাউদ্দিন ফুটবল উন্নয়নের কোনো চেষ্টাই করেননি। ফিফা এএফসির টাকায় দুর্নীতি হয়েছে। একটা একাডেমি পর্যন্ত তিনি করেননি। তিনি কয়েকজনকে নিয়ে চলেন। কারও কথা শোনেন না। এই অবস্থায় দেশের মানুষের প্রিয় ফুটবল ধ্বংস হতে চলেছে। ফিফা র‌্যাঙ্কিং তলানিতে পৌঁছেছে।

বাদল রায় শারীরিকভাবে অসুস্থ। বছর দু-এক আগে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে আসেন। তবু ফুটবলের নেশা ছাড়তে পারেননি। নিজেই বলেন,‘ ফুটবল রক্তে মিশে গেছে। কোনোভাবেই তা থেকে মুক্তি পাচ্ছি না। তাই অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই লড়াই চলবে। আজ সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণার মাধ্যমে নতুন যাত্রা শুরু করলাম আমি।’