সেদিন সোয়েটারও ছিল না রবি শাস্ত্রীর

রবি শাস্ত্রী
রবি শাস্ত্রী
>

১৯৮১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল রবি শাস্ত্রীর। প্রচণ্ড বাতাস আর ঠান্ডার মধ্যে সেদিন নিজের কোনো সোয়েটার পরে খেলতে পারেননি শাস্ত্রী। ধার করেছিলেন পলি উমড়িগড়ের কাছ থেকে।

রবি শাস্ত্রী ৩৯ বছর আগের সেই দিনটির কথা মনে করে বেজায় আপ্লুত!

১৯৮১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। সেদিনের কথা তিনি ভেলেন কী করে! কী আশ্চর্য, ২০২০ সালের সেই ২১ ফেব্রুয়ারিতেই শাস্ত্রী আবার ওয়েলিংটনে আরেকটা টেস্টে—এবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে।

ব্যাপারটা কাকতালীয়, সন্দেহ নেই। শাস্ত্রী নিজেও বেশ অবাক এই ঘটনায়। ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে বসে আজ তাঁর অভিষেক মুহূর্তের কথা নিশ্চয়ই বারবার মনে পড়ছে। স্বীকার করলেন, এমন কিছু ঘটবে, এটা কখনোই ভাবেননি, ‘আমি কখনোই ভাবতে পারিনি, একই মাঠে, একই দলের বিপক্ষে, একই তারিখে আমি কোচ হিসেবে ভারতীয় দলের সঙ্গে থাকব। ১৯৮১ সালে ছিলাম দলের নবীন এক ক্রিকেটার, এবার কোচ। পুরো ব্যাপারটিই আমার কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকছে।’

শাস্ত্রী তাঁর অভিষেকের দিনের বর্ণনা দিয়েছেন চেতেশ্বর পূজারাকে। স্টার স্পোর্টসে প্রচারিত সে সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য। দেশ থেকে জরুরি তলব পেয়ে নিউজিল্যান্ডে উড়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। ওয়েলিংটনে পৌঁছেছিলেন টেস্টের ঠিক আগের দিন রাত নয়টার দিকে, ‘জীবনে ভুলব না সেদিনটির কথা। ম্যাচের আগের দিন রাত নয়টায় ওয়েলিংটনে পৌঁছলাম। এয়ারপোর্টে আমাকে নিতে এসেছিলেন প্রয়াত বাপু নাদকার্নি (ভারতের হয়ে ৪১ টেস্ট খেলা এ সাবেক ক্রিকেটার ছিলেন সেবার ভারতীয় দলের ম্যানেজার)। হোটেলে গিয়ে দেখলাম ভারতীয় দল দূতাবাসের ডিনার পার্টিতে গেছে। দিলীপ ভেংসরকারের সঙ্গে কক্ষ ভাগাভাগি করতে হলো আমার। তখন ভেংসরকার ডিনারে। আমি হোটেলে পৌঁছেই সোজা বিছানায় চলে গেলাম। বেজায় ক্লান্ত ছিলাম সেদিন।’

টেস্টের প্রথম সকালে ওয়েলিংটনে ছিল প্রচণ্ড বাতাস আর কনকনে ঠান্ডা। কিন্তু শাস্ত্রীর নিজের সোয়েটারটাই নাকি ছিল না সেদিন, ‘পৃথিবীর যেকোনো মাঠের তুলনায় ওয়েলিংটন একটু আলাদা। সেখানে প্রচণ্ড বাতাস বয়। সেদিনও বাতাস ছিল, সে সঙ্গে ছিল ঠান্ডা। আমি সোয়েটার নিয়ে যাইনি। শেষে পলি উমড়িগড়ের সোয়েটার পরে আমি অভিষেক ম্যাচটি খেলি।’

১৯৮১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬২ রানে হেরেছিল ভারত। দল হারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে শাস্ত্রীর অভিষেক অবশ্য মন্দ ছিল না। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।