ইমরান খানের কাছে রমিজের দাবি

ফিক্সারদের আজীবন নিষেধাজ্ঞা চান রমিজ রাজা। ছবি: রয়টার্স।
ফিক্সারদের আজীবন নিষেধাজ্ঞা চান রমিজ রাজা। ছবি: রয়টার্স।
>পাকিস্তানের ক্রিকেটে ফিক্সিং যেন নিয়মিত ঘটনা। এ থেকে উদ্ধার পেতে ফিক্সারদের আজীবন নিষেধাজ্ঞা চান রমিজ রাজা।

স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য যে তাঁকে প্রস্তাব করেছিল জুয়াড়িরা, সেটি কর্তৃপক্ষকে জানাননি উমর আকমল। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে তাই তদন্তে নেমেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি), অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধও করেছে। গতকাল শুরু হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) তাই খেলা হচ্ছে না আকমলের।

এ ঘটনায় খেপেছেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলে তাঁর অধিনায়ক ইমরান খানকে রমিজ অনুরোধ করেছেন, এমন একটা আইন করতে যাতে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িতদের আজীবনের জন্য ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার করা হয়।
পিএসএলের সঙ্গে ম্যাচ পাতানোর ইতিহাস নতুন কিছু নয়। ২০১৭ পিএসএলেই স্পট ফিক্সিং করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শারজিল খান (আড়াই বছর নিষিদ্ধ), খালিদ লতিফ (পাঁচ বছর), নাসির জামশেদ (দশ বছর), মোহাম্মদ ইরফান (এক বছর), মোহাম্মদ নাওয়াজ (ছয় মাস) ও শাহজাইব খানের (চার বছর) মতো ক্রিকেটাররা। এবার পিএসএল শুরুর দিনেই আকমলের এই নিষেধাজ্ঞার খবর শুনে সেসব প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন রমিজ। রিপাবলিক টিভিতে রমিজ বলেছেন, ‘আজ (উমর আকমলের নিষেধাজ্ঞার খবরটা শুনে) খুব বিরক্ত লাগছে আমার। মনে হচ্ছে শারজিল আর খালিদ লতিফের ঘটনা গতকালই হয়েছে, এর মধ্যে এটা! এত রাগ লাগছে! পাকিস্তানের ক্রিকেটে এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে।’

পাকিস্তানের পার্লামেন্টের প্রতি তাঁর অনুরোধ, ‘খুব করেই চাই যাতে সংসদে এমন আইন পাশ হোক, যাতে সব দোষী খেলোয়াড়ের জন্য একই রকম শাস্তির বিধান থাকে।’ এ ব্যাপারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, পিসিবির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের সঙ্গে পিসিবির আলোচনা করা উচিত বলে মনে করেন রমিজ।

তা একই রকম শাস্তিটা কেমন হবে? এ ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডকে আদর্শ মানছেন রমিজ, ‘আমাদের নিউজিল্যান্ডের মতো আইন থাকা উচিত। নিউজিল্যান্ড ও আরও কয়েকটা দেশ নিশ্চিত করেছে কোনো খেলোয়াড় খেলাটায় দুর্নীতি করার চেষ্টা করেছে, সেটার প্রমাণ পেলে ওই খেলোয়াড়কে আর ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হবে না।’ এর আগে স্পট ফিক্সিং করে নিষিদ্ধ সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফদেরও ফেরার বিরোধিতা করেছিলেন রমিজ। সেটার কারণও আরেকবার ব্যাখ্যা করেছেন, ‘শুধু ক্রিকেটটাই পাকিস্তানের মানুষকে একসুতোয় বাঁধে। কাউকে সেটিতে কালি লাগাতে দেওয়া উচিত হবে না।’

উমর আকমলের জন্যও তাঁর কোনো অনুকম্পা নেই। তাঁর চোখে, আকমল অনেক পরিপক্ব মানুষ, যে নিজের কাজের দায়িত্ব নেওয়া উচিত। দুর্নীতি দমনে খেলোয়াড়-কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক বিবরণীতেও নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন রমিজ।