নাঈম-জায়েদের কেউই পারলেন না

আবু জায়েদ ও নাঈম হাসান। ছবি: প্রথম আলো
আবু জায়েদ ও নাঈম হাসান। ছবি: প্রথম আলো
>জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার সুযোগ ছিল আবু জায়েদ ও নাঈম হাসানের

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেওয়ার সুযোগ ছিল অফ স্পিনার নাঈম হাসান ও পেসার আবু জায়েদের। ছোট্ট ক্যারিয়ারে ইতিমধ্যে একবার ৫ উইকেট নিয়েছেন নাঈম। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টেই ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। আজ আরেকবার সুযোগ ছিল ৫ উইকেট নিয়ে লাল বলটি উঁচু করে ধরার।

আবু জায়েদের আক্ষেপটা হয়তো একটু বেশি। ক্যারিয়ারের ৯ম টেস্ট খেলছেন। নামের পাশে নেই কোনো ৫ উইকেট। গতকাল ২ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করা জায়েদ আজ সকালেই আরও ২টি নিয়ে ৫ উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা জাগান। সকাল থেকেই জিম্বাবুয়ের নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন জায়েদ। এক সময় মনে হচ্ছিল, ৫ উইকেটটা বোধ হয় জায়েদই পেয়ে যাবেন, নাঈম নয়। আজ সকালেও ভালো সুইং পেয়েছেন জায়েদ।

তখন মনে হচ্ছিল খরা কাটবে দীর্ঘ ৭ বছরের। টেস্টে বাংলাদেশের কোনো পেসার সর্বশেষ এক ইনিংসে ন্যূনতম ৫ উইকেট পেয়েছিলেন ২০১৩ সালে। সেটিও এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই হারারে টেস্টে। বোলারটি ছিলেন রবিউল ইসলাম। দীর্ঘ এই খরা আজ কাটাতে পারতেন জায়েদ। তবে শেষ উইকেটে ৫১ বল খেলে জায়েদ-নাঈমকে ভালোই প্রতিরোধ করেছেন চাকাভা-নুয়াচি জুটি। শেষ পর্যন্ত তাইজুল এসে ভেঙেছেন শেষ জুটি।
গতকাল ৩৬ ওভার বল করা নাঈম আজ সকালে বল করেছেন মাত্র ২ ওভার। জায়েদের সঙ্গে তাইজুল ইসলাম দুই প্রান্ত থেকে বোলিং শুরু করেন। জিম্বাবুয়ের বাকি ৪ উইকেট ভাগ করে নেন এ দুজন। তাইজুলের জন্য জায়েদ ও নাঈমের কপালে জোটেনি টেস্টে এক ইনিংসে ৫ উইকেট।