৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ - তামিম যেখানে 'প্রথম'
>আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১৩ হাজার রান তামিম ইকবালের
বাংলাদেশের হয়ে মাইলফলকটি গড়তে প্রয়োজন ছিল ২৭ রানের। দ্বিতীয় সেশনে তখন ছন্দে ছিলেন তামিম ইকবাল। ২৬ রানে থাকতে চার্লটন শুমাকে দর্শনীয় এক ব্যাকফুট ড্রাইভে চার মারেন তিনি। ব্যস, হয়ে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ মাইলফলক গড়লেন তামিম। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর ৪১ রানের ইনিংসে হতাশাই থাকবে বেশি। ইনিংসটা যে বড় করতে পারলেন না!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ ও এশিয়া একাদশের হয়ে খেলেছেন তামিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ টেস্টের আগে তিন সংস্করণ মিলিয়ে তাঁর রান ছিল ১২৯৭৩ রান। আজ ৪১ রানের ইনিংস দিয়ে ১৩ হাজারি ক্লাবে নাম লেখান বাংলাদেশের এ ওপেনার। যথারীতি এ দৌড়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন নিজেরই প্রিয় বন্ধুকে। কে আবার, সাকিব আল হাসান! তিন সংস্করণ মিলিয়ে সাকিবের রান ১১৭৫২।
তামিম-সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার পর থেকেই এ প্রতিযোগিতা চলছে। হাজারি ক্লাবে নাম লেখানোর দৌড়ে কে কাকে আগে ছাপিয়ে যেতে পারেন। মজার এ দ্বৈরথে তামিম ‘প্রথম’ ৭ থেকে ১৩ পর্যন্ত—মানে ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ হাজার রানের মাইলফলক বাংলাদেশের মধ্যে সবার আগে ছুঁয়েছেন তামিম।
২০১৪ সালে খুলনায় এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই টেস্টের আগে ৭ হাজার রানের মাইলফলকের হাতছানি ছিল তামিম-সাকিবের। তামিমের রান ছিল ৬৯৬৬, সাকিবের ৬৮৮৫। ওই টেস্টে সেঞ্চুরি করেন দুজনেই। তবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন তামিম। ৮ হাজারি ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন পরের বছরই। সেটিও টেস্টে, পাকিস্তানের বিপক্ষে। খুলনা টেস্টে ২০৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস দিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮ হাজারি ক্লাবে পা রেখেছিলেন তামিম।
তিন সংস্করণে একেকটি হাজারের কোটা ছুঁতে একটি করে বছর লেগেছে তামিমের। ২০১৬ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৯ হাজারি ক্লাবে পা রাখেন তামিম। সেটিও বাংলাদেশের প্রথম হিসেবে। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাকিব এ মাইলফলক ছুঁয়েছেন পরের বছর, ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে। ঠিক এ বছরই আবার ১০ হাজারে নাম লেখান তামিম। ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১২৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেখানে ২ রানের মাথায় ছুঁয়েছিলেন এ মাইলফলক। ব্যাট করতে নেমেছিলেন ৯৯৯৯ রান নিয়ে।
তবে ১২ হাজার রানে পা রাখতে এবার আর এক বছর লাগেনি তামিমের। ২০১৮ সালেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫০ রানের ইনিংস দিয়ে পৌঁছেছেন সেখানে। সময় লাগল পরের হাজারে পৌঁছাতে। প্রায় ১৪ মাস পর আজ—যেখানেও তামিম প্রথম বাংলাদেশি।