ভারতকে হারাতে মেয়েদের করতে হবে ১৪৩ রান

ভারতের আরেকটি পতনের উল্লাস বাংলাদেশের। ছবি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুইটার
ভারতের আরেকটি পতনের উল্লাস বাংলাদেশের। ছবি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুইটার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই একটি সুসংবাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য স্মৃতি মান্ধানা জ্বরে ভুগছেন, তাই আজ আর নামা হয়নি এই ওপেনারের। এটা অবশ্য বাংলাদেশের জন্য খুব একটা কাজে লাগেনি। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তুলেছে। পার্থে আজ জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে বাংলাদেশের মেয়েদের করতে হবে ১৪৩ রান।

৭২টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১২টি ফিফটি হাঁকানো স্মৃতির শূন্যস্থান পূরণ করা হয়নি তানিয়া ভাটিয়ার। ব্যাটিং লাইনআপে ওপরে উঠে বরং চাপে পড়ে তানিয়া আউট হয়ে গেছেন দ্বিতীয় ওভারেই, মাত্র ২ রান তুলে। কিন্তু তাতে ভারতের খুব একটা ক্ষতি হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচে মাত্র ১৫ বলে খেলেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন শেফালি ভার্মা। সেদিন ২৯ রান করেছিলেন ১৬ বছরের মেয়ে। আজ এর চেয়ে মাত্র ২ বল বেশি খেলেছেন। কিন্তু তাতেই ১০ রান বেশি করেছেন শেফালি। মাত্র ২ চারের সঙ্গে দুর্দান্ত ৪ ছয়ে ৩৯ রান করে ফিরেছেন ষষ্ঠ ওভারে।

শেফালি যখন ফিরছেন তখন ভারতের রান ৫৩। পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান পাওয়া ভারতের তবু চিন্তার কারণ ছিল না। একদিকে জেমিমাহ রদ্রিগেজ আছেন, অন্যদিকে নেমেছেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। কিন্তু বাংলাদেশকে স্বস্তি দিয়ে পানা ঘোষের নিরীহ এক বলে গালিতে ক্যাচ দিয়েছেন মাত্র ৮ রান করা হারমানপ্রীত।

ভারতের রান ততক্ষণে ৭৮। ১০ ওভারেই ৭৮ রান করা ভারতের স্কোর কোন পাহাড় চূড়ায় ওঠে সে দুশ্চিন্তায় হয়তো পড়ে গিয়েছিল তখন বাংলাদেশ। আগের ম্যাচেই মাত্র ১৩২ রান করেও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করেছে ভারত। এমন অবস্থায় রুমানার স্পেলে একটু চেপে ধরা গিয়েছিল ভারতীয়দের। মাত্র ২১ রানের মধ্যে তিনজন ব্যাটার ফিরে গেছেন রান বাড়ানোর চাপে। এর মাঝে দুজনই হয়েছেন রান আউটের শিকার। জেমিমাহকে (৩৪) রানআউট করার পেছনে নাহিদা ও নিগারের দুর্দান্ত অ্যাথলেটিসিজম ভূমিকা রাখলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৯ রান করা দীপ্তির রানআউটটি ছিল বেশ হাস্যকর।

১১৩ রানে ৬ উইকেট হারানো ভারতের বড় স্কোর তবু আটকানো যায়নি। ভেদা কৃষ্ণমূর্তির ছোট এক ক্যামিও (১১ বলে ২০) ভারতকে এনে দিয়েছে ম্যাচ জেতার মতোই এক স্কোর। বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে।