রাজ্জাকের দক্ষিণের হ্যাটট্রিক শিরোপা

রাজ্জাকের নেতৃত্বে জয়ীর বেশে মাঠ ছাড়ছে দক্ষিণাঞ্চল। ছবি: সৌরভ দাশ
রাজ্জাকের নেতৃত্বে জয়ীর বেশে মাঠ ছাড়ছে দক্ষিণাঞ্চল। ছবি: সৌরভ দাশ
ফাইনালে চার দিনের মধ্যে পূর্বাঞ্চলকে ১০৫ রানে হারিয়ে অষ্টম বিসিএলের শিরোপা জিতেছে দক্ষিণাঞ্চল


নাম পাল্টে গেছে দক্ষিণাঞ্চলের। প্রাইম ব্যাংক সরে দাঁড়ানোয় প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল হয়ে গেছে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) আরেকটি মৌসুম শেষে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি উঠল সেই দক্ষিণাঞ্চলের হাতেই। আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফাইনালে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলকে ১০৫ রানে হারিয়ে টানা তৃতীয়বার ও সব মিলিয়ে পঞ্চমবার বিসিএলের শিরোপা জিতেছে আবদুর রাজ্জাকের দক্ষিণাঞ্চল।

বিসিএলের ফাইনালটা ছিল পাঁচ দিনের। ম্যাচটি শেষ হয়ে গেল চার দিনের মধ্যেই। ৮ উইকেটে ১২৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা দক্ষিণ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট ১৪০ রানে। শেষ ১৫ রানের ১২-ই এসেছে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানের ব্যাট থেকে। তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের বাউন্সারে হুক করে ছক্কা মেরে ফিফটি ছুঁয়েছেন ২৫ বছর বয়সী খেলোয়াড়। পরের ওভারে মেহেদীকে স্লিপে পিনাক ঘোষের ক্যাচ বানিয়ে দক্ষিণে ইনিংসের ইতি টানেন হাসান। ৩৫ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট দলে ডাক পাওয়া হাসান। ১৩ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে হাসানের এটিই সেরা বোলিং।

চ্যাম্পিয়ন হতে ৩৫৪ রানের লক্ষ্য পায় পূর্বাঞ্চল। দক্ষিণের দুই পেসার শফিউল ইসলাম ও আল আমিন হোসেন ৩৩ রানেই পূর্বাঞ্চলের ৩ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল, অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও পিনাক ঘোষকে তুলে নেন। আশরাফুল ও ইমরুল, দুজনই ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপার নুরুল হাসানকে।

আফিফ হোসেনকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৯৬ রান যোগ করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান। ৩১ রান করে মেহেদীর অফ স্পিনে আফিফ স্টাম্পিংয়ের শিকার হওয়ার পর দলকে ১৫৮ রানে রেখে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন মাহমুদুল। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক মাহমুদুল ১০ চার ও ২ ছক্কায় ১০৪ বলে করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৮১ রান। এরপর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রানে অলআউট পূর্বাঞ্চল। দক্ষিণের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন পেসার শফিউল (৩/৫৬) ও অফ স্পিনার মেহেদী (৩/৬৬)