'রোনালদোকে যারা সেরা বলে তারা ফুটবলই বোঝে না'

মেসি-রোনালদোর শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে তর্ক চলছেই ফুটবল বিশ্বে। ফাইল ছবি
মেসি-রোনালদোর শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে তর্ক চলছেই ফুটবল বিশ্বে। ফাইল ছবি
>

স্পেন থেকে ইতালিতে পাড়ি জমালেও মেসির সঙ্গে রোনালদোর সেরার দ্বৈরথে ছেদ পড়েনি। ডাচ কিংবদন্তি মার্কো ফন বাস্তেনের সেরা লিওনেল মেসি

লিওনেল মেসি, নাকি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো—কে সেরা? এই সময়ের তারকা দুই ফুটবলারের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে ফুটবল বিশ্বে তর্কবিতর্কের শেষ নেই। নিজের পছন্দের ফুটবলারটিকে সেরা প্রমাণ করতে কত কিছুই না বলেন একেকজন। সাবেক ডাচ তারকা মার্কো ফন বাস্তেন অত সব যুক্তিতর্কে যেতে চান না। তাঁর সেরা বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। তাঁকে সেরা বলতে গিয়ে রোনালদো-ভক্তদের একপ্রকার ‘হেয়’ই করেছেন ফন বাস্তেন। এসি মিলানের সাবেক তারকার কথা—রোনালদোকে যারা সেরা বলেন তারা ফুটবলই বোঝে না!

লা লিগায় প্রায় এক দশক সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মেসি-রোনালদো। সেই সময় প্রায় প্রতিদিনই সংবাদের শিরোনাম হতো তাঁদের দুজনের দ্বৈরথ আর শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি। রোনালদো গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে নাম লিখিয়েছেন। স্পেন থেকে ইতালিতে পাড়ি জমালেও মেসির সঙ্গে তাঁর সেরার দ্বৈরথে ছেদ পড়েনি। ফিফা দ্য বেষ্ট বা ব্যালন ডি’অর—যেকোনো পুরস্কারের সময় এলেই শুরু হয়ে যায় দুজনের শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি।

এখন অবশ্য পুরস্কার-টুরস্কারের সময় নয়। এরপরও সাংবাদিকেরা ডাচ কিংবদন্তি কাছে জানতে চেয়েছিলেন তাঁর সেরা কে? এর উত্তরে ফন বাস্তেন বলেছেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো অসাধারণ খেলোয়াড়। তবে যারা বলে সে মেসির চেয়ে ভালো ফুটবলার তারা ফুটবলের কিছুই বোঝে না। অথবা তারা এটা মেসিকে খাটো করার জন্য বলে।’ মেসির প্রশংসা করতে গিয়ে ফন বাস্তেন এরপর যোগ করেন, ‘মেসি অদ্বিতীয়। মেসির মতো কাউকে পাওয়া অসম্ভব। তার মতো খেলোয়াড় ৫০ বা ১০০ বছরে একজনই আসে। শৈশব থেকেই সে ফুটবল জিনিয়াস।’

ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জয়ে অবশ্য রোনালদোর চেয়ে মেসিই এগিয়ে আছেন। পুরস্কারটি মেসির হাতে উঠেছে ছয়বার, রোনালদো জিতেছেন পাঁচবার। চোটের কারণে অকালেই অবসরে চলে যাওয়া ফন বাস্তেন সেদিক থেকে কিন্তু খুব একটা পিছিয়ে নেই। ক্যারিয়ারটা একটু আগেভাগেই শেষ হয়ে যাওয়ায় একটা আক্ষেপও আছে ডাচ কিংবদন্তির, ‘আমি মূলত ২৮ বছর বয়সেই খেলা ছেড়ে দিয়েছি। এর মধ্যেই তিনটি ব্যালন ডি’অর জিতেছি। রোনালদো আর মেসির দিকে তাকান, দুজনেই ৩০ বছরের ওপরে। আর দেখুন এতগুলো বছর খেলার কারণে ওরা কোথায় আছে।’