করোনাভাইরাস 'পরিস্থিতি সুবিধার না' বললেন ফিফা সভাপতি

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ছবি : এএফপি
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ছবি : এএফপি
>

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে খেলায়ও। বিশ্বের বিভিন্ন ফুটবল লিগের ম্যাচ স্থগিত হচ্ছে। ব্যাপারটা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো

করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়ছে ফুটবলেও। এর মধ্যে ইতালিতে এ কারণে বেশ কিছু ম্যাচ স্থগিত হয়েছে। যেখানে এই সপ্তাহে সিরি আ এর শীর্ষ দুই দল জুভেন্টাস ও ইন্টার মিলানের লড়াই করার কথা, সেখানে রোনালদো-লুকাকুদের বেঞ্চে বসিয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস-শঙ্কা। কিছু ম্যাচ আয়োজিত হচ্ছে দর্শকবিহীন স্টেডিয়ামে। ব্যাপারটি নজর এড়ায়নি ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর।

শুধু ফুটবলই নয়, অন্যান্য খেলাও স্থগিত হচ্ছে সমানে। শোনা যাচ্ছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমাতে আগামী জুলাইতে টোকিও অলিম্পিকও স্থগিত হতে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন লিগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই মৌসুমের জন্য। গোটা ব্যাপারটাই উদ্বেগজনক। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও তাই চিন্তিত ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

বেলফাস্টে ফিফার এক সভায় ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘যেকোনো ফুটবল ম্যাচের তুলনায় মানুষের স্বাস্থ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই আমরা পুরো ব্যাপারটা মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি করোনাভাইরাস আর ছড়াবে না। মহামারি এই রোগ কমে যাক এটাই প্রত্যাশা। কিন্তু এই মুহূর্তে এর বিস্তার বেড়েই চলেছে। এখন হয়তো আমরা দর্শক শূন্য মাঠে ম্যাচ আয়োজন করছি। কিন্তু এই ব্যবস্থায় কত দিন ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব, সে প্রশ্নটা থেকেই যায়।’

ইউরোপজুড়ে চলতে থাকা লিগ মৌসুম কি আসলেই বন্ধ হয়ে যাবে? প্রীতি ম্যাচগুলো কি আয়োজন করা হবে না? ফিফা সভাপতি এ প্রসঙ্গে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি, ‘এখনই আমরা কোনো কিছু বাতিল করছি না। আশা করি সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে না আমাদের। তারপরেও বলব, পরিস্থিতি সুবিধার নয়।’

করোনাভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছে ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চল। সেখানে ১০টিরও বেশি শহর আগেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২২৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ‘ক্লোজ ডোর’ ম্যাচ খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিরি’আ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৭ জন মারাও গেছেন।