গোল না করেও প্রায় ৯৯ হাজারে সেরা বরিশালের মঈনুল

টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় মঈনুল ইসলাম (বামে)। ছবি: বাফুফে
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় মঈনুল ইসলাম (বামে)। ছবি: বাফুফে
>

উপজেলা পর্যায় থেকে শুরু করে চূড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত সব মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অংশ নিয়েছে ৯৮,৭৩০ জন ফুটবলার। এর মধ্যে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন মঈনুল ইসলাম।

অনূর্ধ্ব-১৭ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বরিশাল বিভাগ। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন বরিশালের মিডফিল্ডার মঈনুল ইসলাম। অর্থাৎ প্রায় ৯৯ হাজার খেলোয়াড়ের মধ্যে সেরা এই মিডফিল্ডার। আয়োজক যুবও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী উপজেলা পর্যায় থেকে শুরু করে চূড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত সব মিলিয়ে অংশ নিয়েছে ৯৮,৭৩০ জন ফুটবলার।

বরিশাল জেলার মুলাদি থানায় মঈনুলের বাড়ি। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পথে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া চূড়ান্ত পর্বের তিন ম্যাচে একটি গোলও আসেনি তাঁর পা থেকে। প্রথম ম্যাচে কেবল রাজশাহীর বিপক্ষে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। কিন্তু মাঝমাঠে তাঁর সৃষ্টিশীলতা এনে দিয়েছে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব। চূড়ান্ত পর্বে বরিশালের মোট গোল ৭টি। এর মধ্যে ৪টি গোলেই ছিল মঈনুলের অবদান।

কাল ম্যাচে পিছিয়ে গিয়েছিল বরিশাল। পেনাল্টি থেকে অধিনায়ক রাশেদুল ইসলামের গোলে সমতায় ফেরা। পেনাল্টিটাও এসেছে মঈনুলের কল্যাণেই। বল নিয়ে দ্রুতগতিতে বক্সে প্রবেশ করলে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ফাউল করলে পেনাল্টি। স্পটকিক থেকে শটটা নিতে পারতেন তিনিই, কিন্তু বল তুলে দেন অধিনায়কের হাতে। গোলে অবদান রাখার মধ্যেই যেন মঈনুলের আনন্দ, ‘চূড়ান্ত পর্বে আমার একটি গোলও নেই। তবে দলের ৭টি গোলের ৪টিতেই আছে অবদান। মিডফিল্ডার হিসেবে গোল করাতেই বেশি ভালো লাগে। নিজে গোল করতে পারলে তো আরও ভালো।’ তবে গোল করার সুযোগ খুব একটা আসে না বলে কিছুটা আফসোস মঈনুলের।

ছেলেটির মধ্যে যে গোলের ক্ষুধা আছে, তা দেখা গেছে শেষ অক্টোবরে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত উয়েফা চার জাতি টুর্নামেন্টে ৭ গোল করে হয়েছিল সর্বোচ্চ গোলদাতা। মালদ্বীপের বিপক্ষে করেছিলেন হ্যাটট্রিকও। প্রথাগত মিডফিল্ডার হলেও কোচ তাঁকে খেলিয়ে ছিলেন ফরোয়ার্ড লাইনে। ব্যস, ৭ গোল। এর আগে ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন।