সাইফউদ্দিনের ফেরায় স্বস্তির বাতাস

দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেই নিজেকে চেনালেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ছবি: প্রথম আলো
দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেই নিজেকে চেনালেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ছবি: প্রথম আলো

মরচে ধরে যায়নি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাটে। বোলিংয়ের ধাঁরও কমেনি। পাঁচ মাস পর খেলতে নেমেছেন তো কী হয়েছে, শেষে নেমে দ্রুত রান তোলা ও বল হাতে জায়গা মেপে বল করার দক্ষতায় একটুও ভাটা পড়েনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কাল ফেরার ম্যাচে ১৫ বলে অপরাজিত ২৮ রান করেছেন সাইফউদ্দিন। ৭ ওভারে মাত্র ২২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। একরকম রাজকীয় প্রত্যাবর্তন যাকে বলে।

ক্রিজে এসেই ছক্কা মারায় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা কিছুটা পিছিয়ে। বড় শট খেলার আগে প্রায় প্রত্যেকেরই ৮-১০ বল লাগে। একটু থিতু হলে তবেই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। ব্যাটিংক্রমের শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে এসে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন। কিন্তু নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের সেই সুযোগ নেই। ওয়ানডে ম্যাচের শেষ পাঁচ ওভারে ব্যাট করতে নেমে উইকেটে থিতু হওয়ার সময় কই! ক্রিজে এসেই চার-ছয়ের খোঁজ করতে হয় ব্যাটসম্যানদের।

বাংলাদেশে এই জায়গার ব্যাটসম্যান যেন সোনার হরিণ। যে কিনা দুই শ স্ট্রাইক রেটে রান তুলতে পারবে, আবার বোলিংও করবে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন থাকলে টিম ম্যানেজমেন্টকে এই দুশ্চিন্তা করতে হয় না।

সে জন্যই চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা সাইফউদ্দিনের ফেরায় স্বস্তির বাতাস বইছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট যেন অপেক্ষায় ছিল এই তরুণ অলরাউন্ডারের ফেরার অপেক্ষায়। অধিনায়ক থেকে শুরু করে বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসানও খুশি।

কাল নাজমুল বলছিলেন, ‘সাইফউদ্দিন দারুণ এক ইনিংস খেলেছে। ওর ফেরাটা স্বস্তির ছিল।’ ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে অধিনায়ক মাশরাফিও এই তরুণ অলরাউন্ডারের প্রশংসা করেছেন, ‘সাইফউদ্দিন অনেক দিন পর দলে ফিরেছেন। সে ফিরেই ব্যাটে বলে ভালো করেছে।’

সাইফউদ্দিনের ছায়াসঙ্গী আবার পিঠের চোট। অতিরিক্ত ক্রিকেট খেললেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে পুরোনো চোট। বিশ্রাম না নিয়ে খেললে ফের চোটে পড়ার আশঙ্কা আছে এই তরুণ অলরাউন্ডারের। কোন ওভার বোলিং করেছেন, কতক্ষণ দৌড়ালেন, সব কিছুই হিসাব রাখতে হয় তাঁর। সাইফউদ্দিনকে মাঠে রাখতে হলে সতর্ক থাকতে হবে সাইফউদ্দিনকে, সতর্ক থাকতে হবে মেডিকেল টিমকেও।