রিয়ালের খেলার ধরন দেখে ভালো লাগেনি পিকের

হতাশাময় রাত কেটেছে পিকেদের। ছবি : এএফপি
হতাশাময় রাত কেটেছে পিকেদের। ছবি : এএফপি
>চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে লা লিগার শীর্ষ স্থানে উঠে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ

দুর্দান্ত এক রাত কাটল রিয়াল মাদ্রিদের। ২-০ গোলের দাপুটে জয়, তাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে। যে জয়ে তারা লিগের দ্বিতীয় স্থান থেকে আবারও উঠে এসেছে শীর্ষস্থানে, সেই বার্সেলোনাকে হটিয়েই। শুধু একটা ম্যাচ জিতে বেশ কয়েকটি সুসংবাদই পেয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। রিয়াল শিবিরে তাই এখন স্বস্তির সুবাতাস। স্বাভাবিকভাবেই বিপরীত অবস্থা বার্সা শিবিরে। রিয়ালের কাছে ধরাশায়ী হয়ে ফুঁসছেন বার্সা তারকারা। ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকের কথা শুনলে তেমনই মনে হয়।

রিয়াল মাদ্রিদের খেলার ধরন একদমই পছন্দ হয়নি পিকের। বিশেষ করে প্রথমার্ধে বেনজেমা-রামোসরা যেভাবে খেলেছেন। ম্যাচ হারলেও প্রথমার্ধে নিজেদের পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ পিকে, ‘প্রথমার্ধে আমরাই ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করছিলাম। ওরা প্রথমার্ধে যেভাবে খেলেছে, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এর আগে রিয়াল মাদ্রিদকে এত বাজে খেলতে দেখেছি খুবই কম। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ওরা আস্তে আস্তে আক্রমণ করা শুরু করে। একটা হতাশাজনক মুহূর্তে ওদের কাছে গোল খেয়ে বসি আমরা।’

প্রথম গোলটা হওয়ার পেছনে পিকের ‘অবদান’ একটু হলেও আছে বৈকি। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শটটা পিকের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে ঢুকে যায় জালে। পিকের পায়ে না লাগলে হয়তো শটটা আটকাতে পারতেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন। প্রথমার্ধে বার্সা যখন ভালো খেলছিল, তখনই সুযোগগুলো কাজে লাগানো উচিত ছিল বলে মনে করেন পিকে, ‘প্রথমার্ধে আমাদের সামনে যেসব সুযোগ এসেছিল, সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে আজ হারতে হতো না। আমি বলছি না তাঁরা খারাপ দল। তবে সব দলেরই কিছু দুর্বলতা থাকে। প্রথমার্ধে গোল না খেয়ে তাঁরা আরও উদ্দীপ্ত হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আসে।’

তবে নিজেদের লিগ জয়ের ব্যাপারে এখনো নিঃসন্দেহ পিকে, ‘আমি মনে করি লিগ জয়ের যথেষ্ট রসদ আছে আমাদের।’

লিগ টেবিলে এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। দেখা যাক, মৌসুমের শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানটা তারা ধরে রাখতে পারে নাকি!