জুয়া খেলে নিষিদ্ধ সাবেক লিভারপুল তারকা

জুয়া খেলে ফেঁসেছেন স্টারিজ। ছবি : এএফপি
জুয়া খেলে ফেঁসেছেন স্টারিজ। ছবি : এএফপি
>

অবৈধভাবে জুয়া খেলতে গিয়ে ফেঁসেছেন লিভারপুলের সাবেক ইংলিশ তারকা ড্যানিয়েল স্টারিজ। চার মাস ফুটবল খেলতেন পারবেন না তিনি

স্টারিজের ক্যারিয়ারটাই যেন একটা হতাশার কাব্য।

প্রতিভার বাস্তব রূপায়ণ করতে পেরেছেন সামান্যই।জীবনে যত ম্যাচ খেলেছেন, তার থেকে বেশি থেকেছেন হাসপাতালের বিছানায়। ফিট হয়ে নেমে দেখিয়েছেন প্রতিভার বিচ্ছুরণ। বুঝিয়ে দিয়েছেন, নিয়মিত ফিট থাকলে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম স্ট্রাইকার হওয়ার সামর্থ্য তাঁর ছিল। ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, বোল্টন ওয়ান্ডারার্স, লিভারপুল—সব দলের সমর্থকই এ ব্যাপারে হয়তো একমত হবেন।

গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেই ক্লাব ছেড়েছিলেন স্টারিজ। চমকের জন্ম দিয়ে ইংলিশ কোনো ক্লাব নয় যোগ দিয়েছিলেন তুরস্কের অখ্যাত ত্রাবজোনস্পোরে। সেখানেও ভালোই ফর্মে ছিলেন। ১৬ ম্যাচ খেলে গোল করেছিলেন ৭টি। কিন্তু বাধ সাধল জুয়ার নেশা।

অবৈধভাবে জুয়া খেলতে গিয়ে ধরা পড়েছেন স্টারিজ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার মাস ফুটবল খেলতে পারবেন না এই তারকা। এ কারণে স্টারিজের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ত্রাবজোনস্পোর। এই চার মাসে অন্য কোনো ক্লাবও স্টারিজকে দলে আনতে পারবে না।

এর আগে একই কারণে ছয় সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা জুটেছিল স্টারিজের কপালে। এবার সে অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণ হওয়ায় জুটল আরও বড় শাস্তি। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়ার একটি দলবদল নিয়ে বাজি ধরেছিলেন স্টারিজ ও তাঁর ভাই। সে কারণে ভাইকে অবৈধভাবে কিছু গোপনীয় তথ্য সরবরাহ করেছিলেন তিনি। যা জুয়া খেলায় নিয়ম-বহির্ভূত। সেটাই কাল হয়েছে স্টারিজের জন্য।

১৭ জুন পর্যন্ত শুধু ফুটবল খেলা না, ফুটবল-সংক্রান্ত অন্য কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না স্টারিজ। ৩০ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারকে নিষেধাজ্ঞা শেষ পর্যন্ত কে দলে নেয়, সেটাই দেখার বিষয় এখন।