ডাবল সেঞ্চুরি তিনটি, তবুও গড় চল্লিশের নিচে

মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে। ছবি: প্রথম আলো
মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে। ছবি: প্রথম আলো
>টেস্টে ন্যূনতম তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বনিম্ন ব্যাটিং গড় কার?

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট জয় এখন অতীত। কিন্তু মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরির রেশ কি কেটেছে? সমর্থকদের মন থেকে এত দ্রুত কেটে যাওয়ার কথা না। বাংলাদেশের ক্রিকেটে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি তো আর প্রতিদিন দেখা যায় না!

এক ম্যাচের সে টেস্ট বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে প্রায় দুই সপ্তাহ হওয়ার পথে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে টেস্টের প্রসঙ্গ তুলে আনার কারণ মুশফিক এবং তাঁর ডাবল। টেস্টে এটি ছিল তাঁর তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানের টেস্টে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি নেই। তবে মুশফিকের ব্যাটিং–সামর্থ্য ও এই অর্জনের পাশে তাঁর গড় (৩৬.৭৭) একটু বেমানান লাগতেই পারে। অন্তত পরিসংখ্যান তেমন কথাই বলছে।

টেস্টে ন্যূনতম তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে—এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মুশফিকের ব্যাটিং গড়ই সবচেয়ে কম। এমন তথ্যই জানিয়েছে ক্রিকইনফো। চারটি ডাবল সেঞ্চুরি (এর মধ্যে একটি ট্রিপল) করা সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম মুশফিকের এক ধাপ ওপরে (৩৮.৬৪)। ছয়টি ডাবল সেঞ্চুরি করা সাবেক লঙ্কান ওপেনার মারভান আতাপাত্তুর ব্যাটিং গড় ৩৯.০২। ন্যূনতম তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়াদের মধ্যে শুধু এ তিন ক্রিকেটারের ব্যাটিং গড়ই চল্লিশের নিচে।

ন্যূনতম দুটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে—এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বনিম্ন ব্যাটিং গড় ভারতের ভিনু মানকড়ের (৩১.৪৭)। আর একটি ডাবল নিয়ে ব্যাটিং গড়ে সবার পেছনে কে? নামটা হয়তো অনেকেই আন্দাজ করতে পারছেন। ঠিক ধরেছেন। জেসন গিলেস্পি। ২০০৬ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে ২০১ রান করা গিলেস্পির ব্যাটিং গড় ১৮.৭৪। ওই টেস্টে ডাবল তুলে নেওয়ার পর দেশের টেস্ট দলে আর কখনো খেলার সুযোগ পাননি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ পেসার।

এই কাতার থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন তো মুশফিক?