তামিম বলছেন, তিনি ব্যাটিং করছেন আগের মতোই

ব্যাটিংয়ের ধরন খুব একটা বদলাননি তামিম। ছবি: শামসুল হক
ব্যাটিংয়ের ধরন খুব একটা বদলাননি তামিম। ছবি: শামসুল হক
তামিম ইকবাল কাল খেলেছেন ১৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। কিন্তু তিনি মনে করেন ব্যাটিংয়ের ধরন খুব একটা না বদলেই ইনিংসটি খেলেছেন তিনি।


বেশ কিছু দিন ধরেই তামিম ইকবালের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে কথা উঠছিল। তিনি নিজেকে খোলসবন্দী করে ফেলেছেন, অতিরিক্ত ডট বল দিচ্ছেন, এমন অনেক কিছুই। তামিমের ব্যাপারে কথা বলতে হয়েছে খোদ জাতীয় দলের প্রোটিয়া ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জিকেও। কাল সিলেটে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ‘খোলস’ ছেড়ে বেরিয়ে এসে জাতীয় দলের ওপেনার খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার নিজের রেকর্ডই লিখেছেন নতুন করে। তবে তামিম নিজে মনে করেন, সমালোচনা যা–ই হোক, তিনি ব্যাটিংটা ভালোই করছিলেন। তাঁর মূল সমস্যাটা ছিল, ইনিংসগুলোকে বড় করতে না পারা।

সিলেটে আজ সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘ইনিংস বড় করা’র স্বস্তির কথা জানালেন তিনি, ‘চাপে ছিলাম। এটা “না” বললে মিথ্যে কথা বলা হবে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, আমি ব্যাটিং খুব ভালো করছিলাম। হয়তো বড় রান করতে পারছিলাম না। টেস্টে যেমন ৪১ করেছিলাম। পাকিস্তানে ৩৫/৩৬ রানের একটা ইনিংস খেললাম। আমার কাছে মনে হয় আমি ব্যাটিং আসলেই খুব ভালো করছিলাম। বিশ্বাস ছিল, এটা কেবল সময়ের ব্যাপার। বড় হয়ে যাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেক দিন ধরেই ইনিংস বড় হচ্ছিল না।’

কাল ১৫৮ রানের ইনিংসে যে তিনি নিজের ব্যাটিংয়ের ধরন বদলাননি, আজ সেটিই বলেছেন তামিম, ‘সত্যি কথা বলতে গতকাল আমি কিছুই ভিন্ন করিনি। একটা জিনিস ফলে গেছে, সেটি হলো আমি দুই–তিনটি বাউন্ডারি বেশি মেরেছি। যদি দেখেন একটা ওভারে দুটি বল আমার পায়ে ছিল, সেগুলো আমি ফ্লিক করে চার মেরেছি। এক শ হওয়ার আগে কিন্তু আমি এগিয়ে গিয়ে কোনো বড় শট খেলিনি। সব শটই ছিল ক্রিকেটীয়। কাল হয়তো অনেক শট গ্যাপে চলে গেছে, বাউন্ডারি হয়ে গেছে। আমি সব সময় যে মাইন্ডসেটে ব্যাটিং করি, কালকেও সেভাবেই ব্যাটিং করেছি।’

২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই বুলাওয়েতে ১৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। এত দিন সে ইনিংসই ছিল ওয়ানডেতে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। কাল সে রেকর্ড ভেঙে ১৫৮ করলেন। দুই ইনিংসের মধ্যে তামিম কিন্তু এগিয়ে রাখতে চান ১১ বছর আগেরটিকেই। এর মূল কারণ সে সময়ের প্রেক্ষাপট, ‘আমি এগিয়ে রাখব ২০০৯ সালেরটা। কারণ, ওটা ছিল প্রথমবারের মতো ৩০০ রান তাড়া করা। এখন তিন শ রান তাড়া করাটা মানুষ যতটা সহজ মনে করে, সে সময় সেটা অত সহজ ছিল না। ওই সময়ের ৩০০ রান এখনকার ৪০০ রানের সমান। ওই সময় আমরা যে ৩০০ রান তাড়া করতে পারি, সে বিশ্বাসটাই খুব কম মানুষের মধ্যে ছিল। আমি নিজেও খুব একটা বিশ্বাস করতাম না। সেদিন আমি যেভাবে ইনিংসটিকে গড়ে তুলেছি, আমি অবশ্যই সেটিকে কালকের ১৫৮ রানের চেয়ে এগিয়ে রাখব।’