চারের জবাবে মোহামেডানকে আবাহনীর চার

আগের মৌসুমে ৪ গোল খাওয়ার মধুর প্রতিশোধ নিল আবাহনী। ফাইল ছবি
আগের মৌসুমে ৪ গোল খাওয়ার মধুর প্রতিশোধ নিল আবাহনী। ফাইল ছবি

ম্যাচ শুরুর আগে যে গ্যালারিতে বিয়ে বাড়ির উচ্ছ্বাস, প্রথমার্ধ শেষ হতে না হতেই সেখানে সানাইয়ের করুণ সুরের মূর্ছনা। কে জানত আবাহনীর বিপক্ষে মৌসুমের প্রথম দ্বৈরথে এভাবে বিধ্বস্ত হবে মোহামেডান? বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সাদা-কালোদের সন্ধ্যাটা রঙিন হতে দেয়নি আবাহনী। শুধু তাই নয়, সর্বশেষ মুখোমুখিতে গত মৌসুমে যেভাবে মোহামেডানের কাছে ৪-০ গোলে হেরেছিল আবাহনী আজ সেটারই যেন মধুর প্রতিশোধ নিল। আজ মোহামেডানকে ৪-০ গোলেই হারিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা।

আজকের সন্ধ্যায় আবাহনীর নায়ক কারভেন্স বেলফোর্ট। ম্যাচের চার গোলের দুটি করেছেন, বাকি দুটিতেও দারুণ অবদান হাইতিয়ান ফরোয়ার্ডের। একটি করে গোল করেছেন এডগার ও নাবিব নেওয়াজ।

ঘরোয়া ফুটবলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের মর্যাদার লড়াইটা অন্য সব ম্যাচের চেয়েই আলাদা। তাইতো গত মৌসুমে যখন দুর্বল মোহামেডানের কাছে হেরেছিল আবাহনী, এ নিয়ে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি তাদের। সেই সমালোচনার জবাব দেওয়ার সুযোগটাই যে মিলছিল না আবাহনীর। অবশেষে এবারের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দ্বৈরথটাকেই বেছে নিয়েছেন মারিও লেমোসের শিষ্যরা।

মোহামেডান এরই মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এর মধ্যে আরামবাগ ও শেখ রাসেলকে হারিয়েছে। শুধু সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে হেরেছে। তবে গত তিন ম্যাচের লড়াকু মোহামেডানকে মোটেও খুঁজে পাওয়া যায়নি আজ। শুরু থেকেই যেন স্নায়ুচাপে ভুগেছে দলের খেলোয়াড়েরা। মালির ফরোয়ার্ড সোলেমান দিয়াবাতেকে ঘিরেই মোহামেডানের আক্রমণভাগ, কিন্তু তাকে কার্যত বোতলবন্দী করে রাখে আবাহনীর ডিফেন্ডাররা। আর মাঝেমধ্যে বক্সে ঢুকে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন শাহেদ হোসেন ও উগুচুকু মোনেকে।

আর আবাহনী যেন তেড়েফুঁড়ে নামার অপেক্ষাতেই ছিল। ম্যাচের ১৬ মিনিটেই মামুনুলের কর্নার থেকে মাথা ছুঁয়ে বেলফোর্ট করেছেন ১-০। আর ৩৩ মিনিটে বেলফোর্টের ক্রস থেকে চলন্ত ভলিতে এডগার করেছেন ২-০। ৪৩ মিনিটে বেলফোর্টের গোলটি ছিল দর্শনীয়। এডগালের লম্বা ক্রস সানডে দারুণভাবে ডামি করেন, এরপর বেলফোর্টের প্লেসিংয়ে ৩-০। ততক্ষণে ম্যাচটি কোমায় চলে গেছে। এরপর ৬৩ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ হেডে হয়েছে ৪-০। বাকি সময়ে চেষ্টা করেও কোনো গোল করতে পারেনি মোহামেডান।

চার ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে আবাহনীর পয়েন্ট ১০। সমান ম্যাচে দুই জয় ও দুই হারে মোহামেডানের পয়েন্ট ছয়।